8.2 C
London
November 18, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপ

ব্রেক্সিটের পর ‘ইংল্যান্ডের শৌচাগারে’ পরিণত হতে পারে কেন্ট!

ব্রেক্সিটের পর বর্ডার চেকের জন্য কেন্টে ঘণ্টার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে পণ্যবাহী ড্রাইভারদের। এই অপেক্ষায়মান হাজার হাজার ড্রাইভারের কারণে আট সপ্তাহের মধ্যে ‘ইংল্যান্ডের টয়লেট’ বা ‘শৌচাগারে’ পরিণত হতে পারে এলাকাটি। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এমনটাই হুশায়ারি জানিয়েছেন একদল প্রচারক।

তারা বলছেন, কেন্টের প্রধান সড়োকগুলো ইতোমধ্যেই মূত্রের বোতল এবং মলের ব্যাগ দিয়ে বোঝাই হয়ে গেছে; যেখানে সেখানে পরে থাকতে দেখা যায় সেগুলো। ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এই মলমূত্রের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্যানটারবেরির লিবারেল ডেমোক্র্যাট কাউন্সিলর মাইক সোল। তিনি বলেন, কেন্ট বর্তমানে ইংল্যান্ডের বাগান হওয়ার বদলে টয়লেট হয়ে উঠছে। অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে বলে আমরা মনে করি।

সরকার অবশ্য লরি চালকদের জন্য পোর্টেবল টোয়লেট রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সংখ্যার বিবেচনায় সেটি মোটেই যথেষ্ট নয়। বিবেচকদের মতামত, সরকার যদি সড়কের পাশে সারি সারি টয়লেটের ব্যবস্থা করে তবে কাজে দেবে।

গার্ডিয়ান বলে, বন্দর পারাপারের সুবিধার্থে নির্মাণাধীন চারটি লরি পার্কিংয়ে পয়নিষ্কাশন সমস্যা মোকাবিলা আরো দুঃসাধ্য হয়ে উঠতে পারে। তাই পার্কিংগুলোর আশেপাশের ঝোপঝাড়ে মলমূত্র ত্যাগ ঠেকাতে ড্রাইভারদের জন্য যথেষ্ট টয়লেটের ব্যবস্থা করার দাবি ড্রাইভার ও এলাকাবাসী সবারই। তাছাড়া সেটি এখনই করা দরকার।

সড়কটিকে খুবই নোংরা বলে দাবি করেন অধিকাংশ লরি চালক। লরি চালকদের একজন প্রতিনিধি ফিল সিল্কস্টোন বলেন, অন্য উপায় না পেয়ে যদি ড্রাইভারদেরকে ঝোপঝাড় ও পার্কওয়ে ব্যবহার করতে হয় তবে পরিবেশের ক্ষতি হবে। আমি আশা করছি সরকার আমাদের কথা শুনবে।

বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি সময়কালে সমস্যাটি ড্রাইভার ও এলাকাবাসীর জন্য ভয়ংকর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কেন্টের সব কয়জন সংসদ সদস্য এবং শতাধিক কাউন্সিলরকে এই সমস্যাটির বিষয়ে জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সিল্কস্টোন।

জানা যায়, বর্জ্য নিষ্কাসন মূলত ডিস্ট্রিক্ট এবং ব্যুরো কাউন্সিলের আওতায় পরে।

১৩ নভেম্বর ২০২০
এনএইচ

আরো পড়ুন

ইউরোপে অপ্রাপ্তবয়স্ক শরণার্থীরা আয়ের শর্ত ছাড়াই পরিবার আনতে পারবে

গোল্ডেন ভিসার ‘দাম’ বাড়ালো গ্রিস

অস্ট্রিয়ায় টিকা না নেওয়াদের জন্য ‘লকডাউন’, ঝুঁকিতে ইউরোপ

অনলাইন ডেস্ক