0.8 C
London
November 20, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ব্রেক্সিটের প্রভাবে যুক্তরাজ্যের ফুলের বাজারে বিশৃঙ্খলা

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পর ওই অঞ্চল থেকে আসা পণ্যের উপর নতুন নতুন নিয়ম জারি করে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে অন্যতম সীমান্তে পরীক্ষা নীতি। ব্রেক্সিটের নতুন নীতির কারণে যুক্তরাজ্যের আমদানীকৃত ফুলের বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক পক্ষ।

ফুল ও গাছপালার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত ও নিরাপত্তা মানসাপেক্ষে আমদানি করে যুক্তরাজ্য। এ কারণে কয়েকটি ধাপে সীমান্তে পরীক্ষা করা হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন দেশটির ফুল আমদানিকারকরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে পরে চেকিং ছাড়াই গাড়ি ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও জানান তারা।

কিছু ফুলের পাইকার বলছেন, সীমান্তে দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় গ্রাহকদের কাছে সময়মতো পণ্য পৌঁছনো সম্ভব হয় না।

এছাড়া নতুন যুক্ত হওয়ার কম্পিউটার সিস্টেমের কারণে আরো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন অনেক ব্যবসায়ী। কারণ বেশকিছু উদ্ভিদ ও ফুলের নাম তালিকায় ছিল না। পণ্যগুলোর লাতিন নাম উল্লেখ থাকায় ভাষার তারতম্য মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফুল ও গাছের পাইকারি বিক্রেতা গ্রিন অ্যান্ড ব্লুমের মালিক ফ্রেডি হিথকোট জানান, সাড়ে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও তার ট্রাক চেকিংয়ের জন্য খোলা হয়নি। এরপর তাকে পরীক্ষায় ছাড়াই চলে যেতে বলা হয়। ৫০টি পাইকারি ক্রয়াদেশ ছিল হিথকোটের প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু সঠিক সময়ে গাড়ি পৌঁছতে না পারায় গ্রাহকসেবা দিতে ব্যর্থ হয়।

যুক্তরাজ্যে বিক্রি হওয়া ফুলের প্রায় ৮০ শতাংশই নেদারল্যান্ডস থেকে আসে। সকালে নিলাম থেকে কিনে আমদানিকারকরা দুপুর থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে ফেরিতে পণ্য তোলেন। অথচ ইইউর সদস্য থাকাকালে আরো দ্রুত ফুল পৌঁছে যেত যুক্তরাজ্যে। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানীকৃত ফুল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেয়ে যেতেন গ্রাহকরা।

বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের বাইরে ফুল পাঠায় এমন সংস্থাকে দেশের বাইরে পণ্য পাঠানোর জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। আবার যুক্তরাজ্যের জন্য আলাদা ফরম পূরণ করতে হয়। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে বেশি সময় লাগলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ফেরি।

সূত্রঃ রয়টার্স / দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১২ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

বার্মিংহামে বিয়ে করলেন নোবেলজয়ী মালালা

ঋষি সুনাক হারলে রুয়ান্ডা নীতিতে ক্ষতি ৫ হাজার কোটি টাকা

আবারো মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক