মোদী বিশ্ব নেতা, পৃথিবীর গুরু ভিশন ২০৪৭ এর স্থপতি। কিন্তু তার নিজের প্রতিবেশীরা ভারতের চার পাশের দেশগুলোর কূটনীতিক মহলে গুঞ্জন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চীনের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ভারতের বাইরে একটি নতুন জোট গঠন করছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বর্তমানে একটি নতুন সার্ক গঠনের আলোচনা চালাচ্ছে। যেখানে ভারতের বদলে নেতৃত্ব দেবে চীন। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য ভেঙ্গে নতুন শক্তির আবির্ভাব ঘটানো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও ইসলামাবাদ এ নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় বসছে আর বেইজিং পর্দার আড়াল থেকে এ উদ্যোগকে তরান্বিত করছে।
পতীত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার এতদিন ভারতকে সবচেয়ে বড় কৌশলগত মিত্র হিসেবে দেখে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে গেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে এখন ঢাকা ভারত কেন্দ্রিক পররাষ্ট্র নীতি থেকে সরে আসছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় এমন একটি অর্থনৈতিক ব্লক করতে চাই, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো কাজ করবে।
টিআরটি ওয়ার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদী যখন নিজেকে বিশ্বনেতা ভাবতে ব্যস্ত তখন তার নিজের প্রতিবেশী দেশগুলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা কেউ তাকে চাইছে না।
ভারতের এক প্রবীণ কূটনীতিক স্বীকার করেছেন, আমরা যদি এখনই কৌশল না বদলাই তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব পুরোপুরি চীনের হাতে চলে যাবে।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন ব্লক, নতুন জোট ভারত বিহীন দক্ষিণ এশিয়া হবার পথে কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা, সমালোচনা।
সূত্রঃ টিআরটি ওয়ার্ল্ড
এম.কে
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫