করোনার সংক্রমণ রোধে যশোরের বেনাপোল-শার্শা উপজেলার ১০৮ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে জনবল বৃদ্ধি করে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বেনাপোল স্থলবন্দরসহ সীমান্তে বিজিবির টহল দল বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবি সূত্র দিয়ে গণমাধ্যম জানায়, বেনাপোল-শার্শা সীমান্তে দুটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের ২০টি সীমান্ত চৌকি (বিওপি) রয়েছে। এর মধ্যে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে ১৪টি এবং খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে ৬টি চৌকি রয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে এসব সীমান্ত চৌকি থেকে নিয়মিত টহল দেওয়া হয়। দেশে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্তের পর বেনাপোল-শার্শা উপজেলায় ১০৮ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্তজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। ৭৭ কিলোমিটার সীমান্তে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ২৮টি নিয়মিত টহল দল ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৩৫টি করা হয়েছে। ৩১ কিলোমিটার সীমান্তে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৬০টি টহল দল ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১২০টি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রধান ফটক, অগ্রভুলাট, পুটখালি, গাতীপাড়া, দৌলতপুর, সাদীপুর, বড় আঁচড়া রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, কাশিপুর এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ২৮টি নিয়মিত টহল দল ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৩৫টি করা হয়েছে। খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৬০টি টহল দল ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১২০টি করা হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে নিয়মিত টহল দল ছাড়াও আরো সাতটি টহল দল বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বেনাপোল স্থলবন্দরসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকচালকেরা যাতে বন্দরের বাইরে বের হয়ে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা না করতে পারেন, সে জন্য টহল জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সবাইকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মঞ্জুর-ই-এলাহী বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য নিয়মিত টহল দল দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে করোনা রোধে সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
৫ জুন ২০২১
নিউজ ডেস্ক