খাদ্য সুরক্ষার অজুহাত দেখিয়ে এবার ভারতের উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের দেখানো পথে হাঁটতে চলেছে হিমাচল প্রদেশ। এখন থেকে হিমাচল প্রদেশের সব খাদ্য বিপণিতে বাধ্যতামূলকভাবে লিখতে হবে বিক্রেতার নাম ও পরিচয়। কংগ্রেস নেতা ও গ্রামীণ সিমলার এমপি বিক্রমাদিত্য সিংহ এই ঘোষণা দেন। এই প্রচেষ্টাকে মুসলিমদের চিহ্নিত করার একটি প্রয়াস বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা এটাকে ধর্মীয় বিভেদমূলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য বলেছেন, ‘এই সপ্তাহের মঙ্গলবার নগরোন্নয়ন এবং পুরসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিক্রমাদিত্যের পিতা বীরভদ্র সিংহ দীর্ঘ ২১ বছর হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ দিকে নিজে কংগ্রেসের হলেও বরাবরই নানা ঘটনায় কংগ্রেসের বিরোধিতা করে চলেছেন বিক্রমাদিত্য। কংগ্রেসের বাকি নেতারা না গেলেও চলতি বছরের গোড়ায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অযোধ্যা যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেন। এবার যোগী সরকারের দেখানো পথে হাঁটলেন সেই বিক্রমাদিত্যই।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দেয়, এবার থেকে খাবারের দোকানগুলোতে লিখে রাখতে হবে দোকানির নাম-ঠিকানা। দোকানে বসাতে হবে নজরদারি ক্যামেরাও।
উল্লেখ্য, দুই মাস আগে কাঁওয়ার যাত্রার সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুরূপ নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বিরোধী শিবিরের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন এমপি অখিলেশ যাদব ও মহুয়া মৈত্র। তারা সকলে প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, যোগী সরকারের এই নির্দেশিকা ‘ধর্মীয় বিভেদমূলক’, মুসলিম দোকানিদের চিহ্নিত করতেই এই ব্যবস্থা।
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
এম.কে
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪