10.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপশীর্ষ খবর

ভারতের কোভিশিল্ডের টিকায় ভ্রমণ পাস দেবে না ইউরোপ

ভারতে তৈরি কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অর্থাৎ কোভিশিল্ড নিলেও কেউ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেতে পারবেন না। তবে পর্যটকদের বিশেষ গ্রিন পাস দিচ্ছে ইইউ।

যদিও আগামী ১ জুলাই থেকে ইইউর চালু করতে যাওয়া ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ এ বলা হয়েছে যারা কোভিড টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন তারা বিনাবাধায় জোটভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।

 

তবে ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভ্যাক্সজেভরিয়ার ক্ষেত্রে এ বিধি প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিবিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ গ্রিন সার্টিফিকেট শুধু ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) অনুমোদিত টিকা মডার্না, ভ্যাক্সজেভরিয়া (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা), জনসন ও ফাইজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

 

ভ্যাক্সজেভরিয়া এবং কোভিশিল্ড উভয়ই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার দুটি সংস্করণ। তবুও ইইউ শুধু প্রথমটির অনুমোদন দিয়েছে। ভ্যাক্সজেভরিয়া সংস্করণটি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্য কয়েকটি দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। সেরামের উৎপাদিন কোভিশিল্ডের এখনো অনুমোদন দেয়নি ইএমএ।

 

স্পেন, জার্মানি এবং গ্রিসসহ ইইউ এর বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ এরই মধ্যে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ব্যবহার করতে শুরু করেছে। জোটের অন্য দেশগুলো আগামী ১ জুলাই থেকে এক যোগে এ পাসপোর্ট ইস্যুর ঘোষণা দিয়েছে।

 

ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ সেরামের উৎপাদিত কোভিশিল্ডের টিকা পেয়েছেন। দেশটিতে এরই মধ্যে ৩২ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশসহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোও এ টিকা দিয়েই তাদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিশিল্ড টিকার অনুমোদন দিয়েছে। টিকার সুষম বণ্টনের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সেও এ টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা সফরেও রাশ টেনেছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। জরুরি কাজ ছাড়া গ্রিন পাসের নুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। গ্রিন পাসের আবেদন যারা করবেন তাদের আবেদন গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিবেচনা করা হবে।

 

৩০ জুন ২০২১
নিউজ ডেস্ক

 

আরো পড়ুন

পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবে বাংলাদেশি পরিচয়ে সৌদিতে যাওয়া রোহিঙ্গারা!

অনলাইন ডেস্ক

সন্তানদের খাবার জোগাতে কর্মক্ষেত্রে না খেয়ে থাকছেন এনএইচএস নার্স!

ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে