ব্রেক্সিটের পরে যুক্তরাজ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হতে শাকসবজি ও ফলমূল আসা ব্রেক্সিটের পূর্বের সময়ের চেয়ে অনেকাংশে কমে গিয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডে’কে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রেমিক-প্রেমিকারা। এই উদযাপনের প্রধান অনুষঙ্গ হলো ফুল। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এবারের ভালোবাসা দিবসে তীব্র ফুলের সংকটে পড়বে ব্রিটিশ যুগলেরা। শুধু তাই নয়, যুক্তরাজ্যে ফুলের সংকট তীব্র হবে মা দিবসেও।
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ দিনগুলোতে দেশটিতে এবার ফুল সংকটের মূলে রয়েছে ব্রেক্সিট। ফুল ও ফুলের গাছ উৎপাদনকারী ব্রিটিশ সংস্থা গার্ডেনিং-এক্সপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস বনেট মত দিয়েছেন, ব্রেক্সিটের ফলে জারি করা বিভিন্ন নীতিমালার জন্য ইউরোপের অন্য দেশগুলো থেকে ফুল আমদানি করতে এবার নানা ঝক্কি-ঝামেলায় পড়তে হবে।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নেদারল্যান্ডসের ফুল চাষিরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যেন ক্ষতির মুখ থেকে তাদের বাঁচাতে ব্রেক্সিট পরবর্তী নীতিমালাগুলো শিথিল করা হয়।
ব্রেক্সিটের আওতায় গত ৩১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় রপ্তানিকারকদের সরবরাহ করা প্রাণী এবং উদ্ভিদের ওপর নতুন নীতিমালা প্রয়োগ করা হচ্ছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, আমদানি করা ওই পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য প্রশংসাপত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে ব্রিটিশ সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নীতিমালার অধীনে পোর্টগুলোতে আমদানি করা ফুল গাছ ও ফুলগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পরীক্ষা চালাতে গিয়ে বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী লরিগুলোকে দীর্ঘ সময় লাইনে অবস্থান করতে হবে। ফলে কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষায় থেকে ফুলের গাছ ও ফুলের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। বিশেষ করে চন্দ্রমল্লিকা ও অর্কিড জাতীয় ফুলগুলোই সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। আর এই দুই ধরনের ফুলই যুক্তরাজ্যের ভালোবাসা দিবস এবং মা দিবসের জনপ্রিয় উপহার। সংশ্লিষ্টদের মতে, ভালোবাসা প্রকাশের বিষয়টি বিব্রতকরই হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে কোমল মন ও প্রেমময় মানুষদের জন্য।
সূত্রঃ ডেইলি স্টার
এম.কে
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪