লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ এবং ট্যুর গ্রুপের আকার ২৫ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ভেনিসে নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছেন, ইতালীয় শহরে অতি-পর্যটনের প্রভাব সীমিত করতে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ভেনিসের ঐতিহাসিক কোয়ার্টারের খালগুলোর কারণে শহরটি ইউরোপের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। ভেনিস এই বছরের শুরুতে পাঁচ ইউরো দৈনিক প্রবেশ ফি চালু করেছিল। এর আগে প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালে কোয়ার্টারে প্রমোদতরি নোঙর করা নিষিদ্ধ করা হয়।
অতি-পর্যটনকে ব্যাপকভাবে ভেনিসের সবচেয়ে জরুরি সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। ২০১৯ সালে এক কোটি ৩০ লাখেরও বেশি দর্শক শহরটিতে গেছে।
এর পর থেকে সেখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে আগামী বছরগুলোতে এ সংখ্যা মহামারির আগের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভেনিস ঐতিহাসিক দ্বীপ শহরটি পর্যটকে ছেয়ে যেতে পারে—এমন ভয়ে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা দেশত্যাগও করেছে। ওসিও নামের শহরের একটি সংস্থা সাম্প্রতিক হালনাগাদে বলেছে, ঐতিহাসিক কোয়ার্টারে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দিতে প্রায় ৪৯ হাজার শয্যা রয়েছে, যা বাসিন্দাদের সংখ্যার চেয়েও বেশি।
শহরের পর্যটন নিয়মে পরিবর্তন এসেছে ইউনেসকোর বিশেষজ্ঞরা গত বছর ভেনিসকে বিপদগ্রস্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় যুক্ত করা হতে পারে বলে সতর্ক করার পর। তবে বন্যাবিরোধী ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্বীপের সমস্যা মোকাবেলার প্রচেষ্টা এবং গণ পর্যটনের প্রভাব কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা শেষ পর্যন্ত ভেনিসকে সেই তালিকায় যুক্ত করেনি।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০২ জুন ২০২৪