২০২১ সালের শুরু থেকেই ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বেশিরভাগ বাণিজ্য নতুন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় এসেছে। বাকি চুক্তিগুলো ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডাব্লুটিও) নিয়মের অধীনে।
চুক্তি অনুযায়ী শুল্কমুক্ত বাণিজ্য এবং দ্বিপক্ষীয় ব্যবাসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করবে বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রি বরিস জনসন। জনসংখ্যা কম হলেও সুইজারল্যান্ড ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার। ব্রিটিশ পরিষেবা ব্যবসায়ের দিক থেকে পঞ্চম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির দিক থেকে শীর্ষ দশে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।
সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের চুক্তিগুলোতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে।
১. সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একত্রিত হয় তবে যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ড দুই দেশের জন্যই সেটি সুবিধাজনক হতে পারে।
২. চুক্তিতে উভয় পক্ষই তাদের পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি, সামাজিক, শ্রম ও শুল্কের বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে। যুক্তরাজ্য বলেছে, চুক্তিতে এমন কোনও গোপনীয় বিষয় নেই যার কারণে ভবিষ্যতে নিয়মকানুন কঠোর করতে হতে পারে। যে কোনো পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের উপর “যুক্তরাজ্যে তৈরি করা” বা “সুইজারল্যান্ডে তৈরি” লেবেল যুক্ত করা হবে। তাই চুক্তির অধীনে বাণিজ্য দুই দেশের জন্যই সুবিধাজনক হবে।
৩. চুক্তির অধীনে ন্যায়সঙ্গত হলে যেকোনও পক্ষই অন্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারবে। যদি কোনও পক্ষ মনে করে, এধরনের শুল্ক আরোপ করে তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, তবে ইস্যুটি তারা সালিশ প্যানেলে উপস্থাপন করতে পারবে। তবে সেই সালিশ প্যানেল হতে হবে পুরোপুরি স্বাধীন এবং সেটি ইউরোপীয় বিচারিক আদালত হতে পারবে না।
চুক্তির কোনও বিশেষ অংশে ঝামেলা দেখা দিলে সেটি পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে। আর চুক্তিতে কাজ না হলে সেটি পুরোপুরি বাতিলেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ