4.3 C
London
January 22, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্য হতে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়িত করতে শুরু হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান

যুক্তরাজ্যের হোমঅফিস অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করতে আকস্মিক অভিযান শুরু করবে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। সোমবার হতেই অভিযান শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে ইমিগ্রেশন সার্ভিস অফিসগুলো রুটিন সভা চালু করেছে। যেখানে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দ্রুত কিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে তার ট্রেনিং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আটককৃতদের অবিলম্বে ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ডিটেনশন সেন্টার হতে আসছে গ্রীষ্মে রুয়ান্ডা ফ্লাইটের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের প্রস্তুত করতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

হোম অফিস জানিয়েছে রুয়ান্ডা নীতি বাস্তবায়নে এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায় এই ল্যান্ডমার্ক নীতিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করছে।

শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেন, “ সরকার অতিরিক্ত বাজেট ব্যয়, বিশৃঙ্খলা ও মানবিক দুর্দশা সত্ত্বেও তাদের অমানবিক রুয়ান্ডা পরিকল্পনাটি সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ধারণা করি এটি একটি বিপর্যয়কর সিস্টেমের কারণ হতে পারে। এই বছর রুয়ান্ডায় কয়েক হাজার মানুষকে অপসারণ করা হতে পারে যার ফলে ছোট নৌকা আসা ছাড়াও অন্যভাবে যারা আফগানিস্তান, সুদান ও সিরিয়ার মতো দেশ হতে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন তারাও আটক হতে পারেন। যার ফলে আইনের অপব্যবহার ও ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারেন অনেক অভিবাসী। যুক্তরাজ্য সরকার একটি সুষ্ঠু, কার্যকর এবং মানবিক আশ্রয় ব্যবস্থা পরিচালনা করার পরিবর্তে নীতি হীন বিষয়ে ঝুঁকে পড়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।”

নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সমর্থনকারী দাতব্য সংস্থার পরিচালক সোনিয়া স্কিটস বলেন, “নির্যাতিত শরণার্থীরা যারা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন নিজের দেশে নির্যাতিত হবার কারণে তারা আবারও যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা নীতির কারণে ট্রমা অনুভব করবেন। এই অবৈধ অভিবাসী ক্র্যাকডাউনের খবরটি অনেক পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণ হতে যাচ্ছে।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৮ এপ্রিল ২০২৪

আরো পড়ুন

আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসন নিয়ে বৃটেন ও ইউরোপ জোরে নেয়া হচ্ছে নানা বিতর্কিত পরিকল্পনা 

যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রথম সংক্রমণ

যুক্তরাজ্যে আইনজীবীদের উপর আসছে কড়া নজরদারি