বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের শরত্কালের ভিতরে প্রথম ডোজ সরবরাহ করা হবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২০২১ সালের ভিতরে সব দেশকে বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিন “সুষ্ঠুভাবে বিতরণ” করার লক্ষ্যে আগানো উচিত। এই পদক্ষেপ দরিদ্র দেশগুলোকে ভ্যাকসিন গ্রহণে সহায়তা করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, যুক্তরাজ্যের লোকদের কাছে আবেদন করছি ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী বণ্টন নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। নৈতিকভাবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে এটাই সঠিক হবে।
ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের কাছে অনেক ভ্যাকসিন থাকলেও অনেক দরিদ্র দেশ এখনো একটা টিকাও দেয়া শুরু করতে পারেনি।
জরুরি অবস্থায় সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গ্রুপের সদস্য স্যার জেরেমি ফারার হুঁশিয়ার করেছেন, কয়েকটি দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দিয়ে বাকি দেশগুলোতে না দেয়া হলে এই করোনা ভাইরাসের আরো রূপের উদ্ভব ঘটবে। শুধু আপনার নিজের দেশে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেই তা অর্থনৈতিকভাবে দেশের কোনো কাজে আসবে না।
তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে বিদ্যমান ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তিযুক্ত দেশগুলো সমাজ ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের দেয়ার পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন শেয়ারিং তহবিলে কয়েক শতাংশ ডোজ দান করতে পারে।
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল, আন্তোনিও গুতেরেস জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, বিজ্ঞান সফল হচ্ছে, কিন্তু ধনী গরিবের পার্থক্য ঠিকই রয়ে গেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভ্যাকসিনগুলো উচ্চ-আয়ের দেশে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে কিন্তু বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে এর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
৩০ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ