রিফর্ম ইউকের এমপিদের সংসদে অনুপস্থিতি এবং তাদের প্রস্তাবিত অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। তিনি রিফর্ম ইউকের পরিকল্পনাকে “অ-ব্রিটিশ” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বৈধভাবে বসবাসকারী মানুষদের হুমকির মুখে ফেলে তাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া কখনোই ব্রিটিশ ন্যায়বোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আজ তিনি গত পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সেটেলমেন্ট নীতির সংস্কার ঘোষণা করেন। তার পরিকল্পনায় স্থায়ী বসবাসের আবেদন করার সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০–১৫ বছর করার প্রস্তাব রয়েছে। সরকার দাবি করেছে, নিয়ম মেনে চলা এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা অভিবাসীদেরই এই নতুন কাঠামো সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেবে।
সেটেলড স্ট্যাটাসধারীদের বিষয়ে তিনি আরও স্পষ্টভাবে জানান যে, যাদের ইতোমধ্যেই স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম পরিবর্তন করা হবে না। তার ভাষায়, “এরা বহু বছর ধরে আমাদের দেশে আছেন, পরিবার গড়ে তুলেছেন, হাসপাতাল-স্কুলে কাজ করেছেন—তাদের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হবে সবচেয়ে অ-ব্রিটিশ কাজ।”
রিফর্ম ইউকের নেতা নিগেল ফারাজ এর আগে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ক্ষমতায় গেলে ILR বাতিল করবেন, যার ফলে শত-সহস্র বৈধ অভিবাসীকে পুনরায় ভিসা নবায়নের বাধ্যবাধকতায় পড়তে হবে, এমনকি বহিষ্কারের ঝুঁকিও তৈরি হবে। শাবানা মাহমুদ বলেন, রিফর্ম ইউকের এই পরিকল্পনা অমানবিক এবং বিভাজন সৃষ্টিকারী।
সরকারের নতুন নীতিতে পুরস্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে—স্কিলড পাবলিক সেক্টরের কর্মী, উদ্যোক্তা ও উচ্চ আয়কারীরা দ্রুতগতিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন। তবে ছোট নৌকায় আগত বা যারা বেনিফিটের ওপর নির্ভরশীল, তাদের ২০–৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। সমালোচকরা সতর্ক করেছেন, এতে যুদ্ধ-নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষরা দীর্ঘ অনিশ্চয়তায় পড়বে।
অভিবাসন নিয়ে বর্তমান বিভাজন সমাজে অশান্তি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার দাবি, অভিবাসন আধুনিক ব্রিটেনের গল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও সেটিকে কার্যকরভাবে চালাতে ব্যবস্থাপনা শক্ত করা জরুরি। নতুন নীতি ২০২১ সাল থেকে আগত দুই মিলিয়ন মানুষের ওপর প্রযোজ্য হবে, তবে যাদের আগেই সেটেলড স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে তারা এর বাইরে থাকবেন।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল
এম.কে

