যুক্তরাজ্যে গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে ৪ শতাংশ যা অনেকটা অবাক করেছে অর্থনীতিবিদদের। যেখানে অর্থনীতিবিদেরা ধারণা করেছিলেন মুদ্রাস্ফীতির হার আরো কমে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ২ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।
২০২৪ সালের শুরু হতেই বিভিন্ন ধরনের এনার্জি বিল, খাবারের দাম এবং ভাড়া সবই বৃদ্ধি পেয়েছে। রেজুলিউশন ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে খাদ্য ও জ্বালানি বিলগুলি ২০২৪ সালের পরে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও যুক্তরাজ্যের দারিদ্রতার হার বাড়া নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে তারা।
জোসেফ রাউন্ট্রি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বল্প আয়ের পরিবারের ৫৬ শতাংশেরও বেশি গত বছর খাবার ও এনার্জি বিলের জন্য ধুকেছে। স্বল্প আয়ের পরিবারের প্রায় অর্ধেক লোক প্রিয়জনের জন্য উপহার কেনার বাজেট কর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। তাছাড়া প্রায় ৭৩% মানুষ মৌলিক অধিকার পূরণ করতে হিমশিম খেয়েছে।
এই ফেব্রুয়ারিতে নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় আর্থিক সহায়তা বা সাধারণ বেনিফিট এবং পেনশন প্রদান স্বাভাবিক থাকবে বলে তথ্যমতে জানা যায়। এর কারণ হিসাবে জানা যায় ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ব্যাঙ্ক হলিডে নেই।
রাষ্ট্রীয় সুবিধাপ্রাপ্তদের সহায়তা ফান্ড হিসাবে ২৯৯ পাউন্ড প্রদান করবে সরকার। এই অর্থ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ হতে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে প্রদান করা হবে বলে জানায় এইচ,এম রেভিনিও। কিছু নির্দিষ্ট সুবিধাপ্রাপ্তরাই এই সহায়তা ফান্ডের জন্য যোগ্য বলে জানা যায়। এর মধ্যে রয়েছে: ইউনিভার্সাল ক্রেডিট, জবসিকার এলাউয়েন্স, কর্মসংস্থান সহায়তা ভাতা, আয় সহায়তা, পেনশন, চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট এবং ওয়ার্কিং ট্যাক্স ক্রেডিট।
যারা এমন কোনও অঞ্চলে বাস করেন যা শূন্য ডিগ্রির নীচে সাত বা ততোধিক দিনের তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তারা ২৫ পাউন্ড পর্যন্ত সহায়তা সরকার হতে পেয়েছিলেন।
তাছাড়া স্বল্প আয়ের লোকেদের উচ্চ এনার্জি বিল প্রদানে সহায়তার জন্য সরকার ১৫০ পাউন্ড অর্থ প্রদান করবে।
কেউ যদি এই ফান্ডের জন্য যোগ্য হয় তাহলে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি চিঠি পাওয়া উচিত। যদি যোগ্য হয়েও চিঠি না পান তাহলে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালের ভিতরে ওয়ার্ক এন্ড পেনশন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত বলে জানিয়েছে ডাব্লিউপি।
কেউ যদি রাষ্ট্রীয় পেনশন পায় তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরেকটা সহায়তা ফান্ডের যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। উষ্ণ হিটিং বিলগুলি পরিশোধে সহায়তার জন্য ২৫০ পাউন্ড হতে ৬০০ পাউন্ড পর্যন্ত সরকার সহায়তা ফান্ড প্রদান করবে। কেউ যদি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পেনশন পান তবে এই সহায়তা ফান্ড পেতে আবেদন করার দরকার নেই বলে জানা যায়।
বেনিফিট এবং রাষ্ট্রীয় পেনশন ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস হতে বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলে খবরে জানা যায়।
জেরেমি হান্ট এক বিবৃতিতে জানান, সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি আরও জানান একই সময়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ৮.৫% বাড়ানো হবে।
শিশু দারিদ্র্য অ্যাকশন গ্রুপ (সিপিএজি) সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে বেনিফিট ক্যাপ বাড়াতে ব্যর্থ হলে আরও বেশি লোককে সরকার দারিদ্র্যতার দিকে ঠেলে দিবে।
এম.কে
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪