যুক্তরাজ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অভিবাসীরা দেশ ত্যাগ করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণে সরকারের চরম ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন লেবার এমপি ক্লাইভ বেটস। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থায় কার্যকর প্রস্থান-চেক না থাকায় অনেকেই অবৈধভাবে থেকে যাচ্ছেন এবং কালো অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন।
বর্তমানে ব্রিটিশ সরকার বিমান, সমুদ্র ও রেল যাত্রীর তথ্য ভিসা রেকর্ডের সঙ্গে মেলানোর মাধ্যমে দেশত্যাগ যাচাই করে। তবে হোম অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন—“প্রত্যেক ব্যক্তিকে ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না”।
বেটস বলেন, এই দুর্বল ব্যবস্থার কারণে বহু অভিবাসী কার্যত নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন এবং অবৈধ শ্রমবাজারে ঢুকে পড়ছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিসা যাচাই ও প্রস্থান-পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে নতুন অভিবাসন নীতি কার্যকর হবে না।
২০২৩ সালে নেট মাইগ্রেশন সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৯০৬,০০০, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়ায় ৭২৮,০০০-এ। যদিও অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONS) এই সংখ্যাগুলোকে “প্রায়োগিক” বলে স্বীকার করেছে, যা ইইউ ও অন্যান্য অভিবাসীর সংখ্যার ভুল উপস্থাপনের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সরকার নতুন নীতি চালু করেছে, যেখানে ভিসা পাওয়ার জন্য কমপক্ষে £৩৮,৭০০ বেতনের চাকরি প্রয়োজন—যা আগের তুলনায় ৫০% বেশি। তবে স্বাস্থ্য, সামাজিক সেবা ও শিক্ষকতার মতো কিছু খাতে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
হোম অফিস জানিয়েছে, তারা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং শিগগিরই একটি নতুন ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপার প্রকাশ করবে, যেখানে একটি “ভেঙে পড়া অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার” রূপরেখা থাকবে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৯ মে ২০২৫