ইংল্যান্ডে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকারি সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অভিভাবক ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সরকার যে প্রস্তাব বিবেচনা করছে, তাতে লাখ লাখ শিশুর জন্য শিক্ষা সহায়তার আইনগত নিশ্চয়তা হারিয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে এসব শিশু “শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যত্ন পরিকল্পনা”-র (EHCP) অধীনে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেয়ে থাকে। এর মাধ্যমে একজন শিশুকে একক সহকারী, ভাষা চর্চার ব্যবস্থা, বিশেষ প্রশিক্ষিত শিক্ষক কিংবা প্রয়োজনীয় উপকরণ নিশ্চিত করা হয়।
কিন্তু সরকারের ভাষ্য, এই পদ্ধতি ব্যয়সাপেক্ষ ও দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করছে। গত কয়েক বছরে এসব পরিকল্পনার সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে, আর বেশিরভাগ কাউন্সিলই আর্থিক সংকটে পড়েছে।
শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ক্যাথরিন ম্যাককিনেল বলেছেন, “বর্তমান ব্যবস্থা কার্যকর নয়, তাই নতুন এক পদ্ধতি ভাবা হচ্ছে।” তবে তিনি স্পষ্টভাবে বলেননি, এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে কি না।
অভিভাবক ও শিশু অধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই পরিবর্তনের ফলে বহু শিশু মূলধারার বিদ্যালয় থেকে বাদ পড়বে। অনেকেই বলছেন, এটা শুধু খরচ কমানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।
এদিকে সরকার অল্পবয়সী শিশুদের জন্য ভাষা সহায়তা কার্যক্রমে তিন মিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়েছে, যাতে আগে থেকেই সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। তারা বলছেন, “আইনি নিশ্চয়তা না থাকলে অধিকাংশ পরিবারই সন্তানের জন্য সঠিক সহায়তা পাবে না।”
বর্তমানে প্রায় ছয় লক্ষ শিশু এই সহায়তার আওতায় রয়েছে, কিন্তু এর অর্ধেকেরও বেশি পরিকল্পনা নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয় না।
সরকার যদি এই পরিকল্পনা বাতিল বা সীমিত করে, তাহলে ইংল্যান্ডের হাজারো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে বিষয়টি এখনই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা জরুরি বলে মত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৪ মে ২০২৫