করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মানুষের জীবন-যাপনেও এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। তবে করোনায় লকডাউনের সময় একঘেয়েমি ভাব দূর করতে অতিরিক্ত মদ পান করে বসেন অনেকে।
নতুন এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানে গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে ৫ হাজার ৪৬০ জন মৃত্যু হয়েছে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, কোভিডে শুরুর দিকে প্রথম লকডাউনে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ ছিল। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রথম তিনমাসে ১ লাখের মধ্যে ১২.৮ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও সেপ্টেম্বরের দিকে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে আসে।
বিগত বছরের মতো এবারও পুরুষের তুলনায় মদপানে মৃত্যুর হারে এগিয়ে নারীরাই। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য এসেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তারা।
পরিসংখ্যান অফিসের এক কর্মকর্তা বেন হোম্বারস্টোন জানান, ২০২০ সালের প্রথম দিকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে অতিরিক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনাটি লকডাউন শুরুর আগে হয়েছিল, যা বিগত বছরের এই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু কোভিডের ঊর্ধ্বগতি থাকায় তাদের মৃত্যুর কারণ যে মদপানে হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।’ বিষয়টি পুরোপুরি জানতে আরো পর্যালোচনা করার প্রয়োজন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
করোনায় লকডাউনের প্রথম দিকে ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন ছিল। কোভিড নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করতো। একঘেয়েমি কাটাতে অতিরিক্ত মদপান করে অনেক ঘরবন্দি মানুষ। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লকডাউন চলাকালীন শুধু যুক্তরাজ্যে নয়, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ অতিরিক্ত মদপানের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সূত্র: সময় সংবাদ