মূল্যস্ফীতি এখন বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রধান আলোচ্য বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, এশিয়া—সব জায়গায়ই এর প্রভাব দৃশ্যমান। সামনের মাসগুলোয় যুক্তরাজ্যে মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাজ্যের অধিবাসীরা।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও (বিওই) এ সুরে জানিয়েছে, আগস্টে মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশা বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন ব্যাংক সিটি ও পোলিং ফার্ম ইউগভের সমীক্ষায় দেখা গেছে, জুলাইয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫-১০ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশা সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। আর ১২ মাস সময়ের ক্ষেত্রে জনতার মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।
বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেনের মধ্যে এখনো মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ইংল্যান্ডে। ফলে বিওই ১৫তম বারের মতো ২১ সেপ্টেম্বর সুদের হার বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুনের পর থেকে বিওইর নীতি কঠোর করার প্রত্যাশা সর্বনিম্নে। এ সপ্তাহে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমার পর গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেছেন, ‘আমরা এখন হারের শীর্ষাবস্থার অনেক কাছাকাছি।’
বিওইর পরবর্তী বৈঠকের পর ২২ সেপ্টেম্বর প্রান্তিক পয়েন্ট রেট ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করার সম্ভাবনা ছিল ৬৯ শতাংশ। যদিও সপ্তাহের শুরুতে এ সম্ভাবনার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
পরবর্তী সময়ে ডিসেম্বরের মধ্যে এ হার ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশে ওঠার সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ। আর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনা ৪৯ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, হার কমতে বছরখানেক সময় লাগবে।
বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, আরো দুবার হার বাড়ানো ক্ষতিকর হবে। তবে বিনিয়োগকারীরাও এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
এম.কে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩