যুক্তরাজ্যে ১৪ বছর বয়সী মেয়ে অনলাইন বুলিং এবং হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। একটি অনুসন্ধানে জানা যায়, আত্মহত্যা করা মেয়েটিকে স্কুলের ছেলেদের দ্বারা একটি গ্রুপ চ্যাটে হেনস্থা করা হয়। তাছাড়া মিয়া জানিনের টিকটক ভিডিওতে নানা হাস্যরসাত্মক কমেন্টও করা হয়েছিল।
উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের কেন্টনের জেএফএস স্কুলের ইয়ার টেনের শিক্ষার্থী মিয়া জানিনকে ১২ মার্চ ২০২১ সালে হ্যারোতে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
তার বাবা মারিয়ানো জানিন জানান, তিনি বিশ্বাস করেন তার মেয়েকে জেএফএসের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সাইবার-বোলিং করেছিল। যার কারণে তার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
মিয়ার বন্ধুরা তার মৃত্যুর পরে পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে জানায়, স্কুলে “সুইসাইড স্কোয়াড” নামে একটি চ্যাটগ্রুপ করে ক্লাসের কিছু শিক্ষার্থীরা। যেখান থেকে মিয়া জানিনকে নিয়ে নানা ধরনের হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা ছড়ানো হয়। মিয়া জানিনকে একটি উপনাম দেয়া হয়েছিল এবং তাকে সারাক্ষণ সেই নাম ধরে ডেকে বিরক্ত করা হতো। তাছাড়া অনেক সময় ছেলেরা নগ্ন ছবিতে স্কুলের মেয়েদের মুখ বসিয়ে দিয়েও সাইবার বুলিং করতো।
অনুসন্ধানে জেএফএসের প্রাক্তন উপ -প্রধান শিক্ষক রাব্বি হাওয়ার্ড কোহেন মিয়ার মৃত্যুর পরে গ্রুপ চ্যাটের ব্যাপারে তদন্তের কথা জানান। তিনি ছেলে শিক্ষার্থীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে বলেও জানান। তিনি বলেন মিয়ার মৃত্যুর আগে চ্যাট গ্রুপের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্কুল অবগত ছিল না।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৪ জানুয়ারি ২০২৪