প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই কেয়ার স্টারমার চাপে পড়ে গেছেন একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও ইউ-টার্নের কারণে। শীতকালীন জ্বালানি সহায়তা বাতিল, প্রতিবন্ধী ভাতা কমানোর চেষ্টা ও কৃষকদের উপর উত্তরাধিকার কর চাপানোর প্রস্তাব ঘিরে দলীয়ভাবে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
ধনীদের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ ও ‘নন-ডম’ ব্যবস্থা বাতিল করে রাজস্ব বাড়াতে গিয়ে উল্টো অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বামপন্থীদের চাপে স্টারমার আবারও তার অবস্থান বদলে দু-সন্তান ভাতা সীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জনগণের ক্ষোভের পাশাপাশি দলের ভেতরে অসন্তোষ বেড়েছে। নতুন জরিপ বলছে, ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ চান স্টারমারকে সরিয়ে দেওয়া হোক। দলের ভেতরে এখন আর গুঞ্জন নয়, সরাসরি নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি উঠছে।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে লেবার দলের উপ-নেতা অ্যাঞ্জেলা রেইনারকে সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি ইতোমধ্যে নীরবে সমর্থন সংগ্রহ শুরু করেছেন।
দলীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়ন নেতাদের মধ্যে রেইনার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যদিও তিনি প্রকাশ্যে নেতৃত্বে আগ্রহ দেখাননি, তবে তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি প্রস্তুত।
রেইনার নিজের ‘কর্মসংস্থান অধিকার বিল’ নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যা শ্রমজীবী ও ইউনিয়নপন্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এই বিল শূন্যঘণ্টার চুক্তি নিষিদ্ধ, ছাঁটাইয়ের সময় অধিক অধিকার, এবং কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি সরকারিভাবে মামলা করার সুযোগ তৈরি করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিল বছরে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত খরচ সৃষ্টি করবে এবং এতে আরও ৫০ হাজার চাকরি হুমকির মুখে পড়বে। তবুও, লেবার কর্মীরা এই বিলকে থ্যাচার-যুগের আইন বাতিলের পথে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
স্টারমার হয়তো বিদায় নিচ্ছেন, কিন্তু যে পরিবর্তন আসছে, তা ব্রিটেনের অর্থনীতিকে আরও বড় চাপে ফেলতে পারে।
সূত্রঃ এক্সপ্রেস
এম.কে
১০ জুলাই ২০২৫