10 C
London
November 25, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের ইসরায়েলে রফতানি বানিজ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের আইনজীবি ও পরামর্শদাতারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি যে, ইসরায়েল গাজার বোমা হামলায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইন (আইএইচএল) মেনে চলেছিল কিনা। এই বিষয়ে একটি নথি প্রকাশ পেয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, গাজায় মানবিক আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর প্রাথমিকভাবে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। উক্ত বিষয় নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিজনেস ও ট্রেড ডিপার্টমেন্ট ইতোমধ্যে গ্লোবাল একশন নেটওয়ার্ক কর্তৃক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানা যায়। এর মূল কারণ যুক্তরাজ্যের ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রফতানি লাইসেন্স প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত।

স্যার জেমস এডি কেসি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এবং বিজনেস ডিপার্টমেন্ট দ্বারা উপস্থাপিত প্রমাণগুলি হতে বোঝা যায়, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়ে অবস্থান ও মানবিক আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অভ্যন্তরে আরও নিবিড় তদন্ত প্রয়োজন।

২৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিস ইন্টারনাল এসেসম্যান্ট ইউনিট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে ইসরায়েল কর্তৃক “গাজায় আক্রমণ, শিশু মৃত্যু হারের অনুপাত এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা গুরুতর উদ্বেগ উত্থাপন করে”।

তবে ২৭ নভেম্বর ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছ থেকে আশ্বাস সংক্রান্ত দীর্ঘ চিঠি পাওয়ার পরেও যুক্তরাজ্যের সরকারী যৌথ মূল্যায়ন ইউনিট বলেছে যে আইএইচএল -এর সাথে কী সম্মতি প্রয়োজন সে সম্পর্কে যুক্তরাজ্য এবং ইসরায়েলের ভিন্নমত রয়েছে। যৌথ মূল্যায়ন ইউনিট এটির সম্মতি সম্পর্কে জানায়, এই সম্পর্কে যথাযথ তথ্য নেই এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব নির্ধারিত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি মোতাবেক সরকারী রফতানি নিয়ন্ত্রণ যৌথ ইউনিট পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে তিনটি বিকল্পের প্রস্তাব দেয়: অস্ত্র রফতানি অব্যাহত রাখা তবে পর্যালোচনাধীন রেখে; রফতানি স্থগিত বিশেষত যেসব অস্ত্র গাজায় ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; বা ইসরায়েলের কাছে সমস্ত অস্ত্র বিক্রয় স্থগিত করা।

খবরে জানা যায়, ডেভিড ক্যামেরন ১২ ডিসেম্বর প্রথম বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন এবং এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতে ব্যবসা ও বাণিজ্য সচিব কেমি বাডেনোচ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ ডিসেম্বর ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রফতানি লাইসেন্সের ধারাবাহিকতা সমর্থন করেন।

সরকারের আইনজীবীরাও দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের উপর অস্ত্র রফতানি বাতিল করার কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। কারণ অস্ত্র সম্ভাব্য গণহত্যা ঘটাতে পারে বা গণহত্যায় প্রয়োগ হতে পারে তার কোনো চিহ্ন ছিল না।

লেবার দলীয় সাংসদ জারাহ সুলতানা বলেন, ” এই নথিগুলি প্রকাশ হওয়ায় সরকারের মন্ত্রীদের চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে ফরেন অফিসের বড় উদ্বেগ ছিল ইসরায়েলের আচরণ নিয়ে এবং সরকারকে ওয়াকিবহাল করেছিল তারা। তথাপি সরকারের মন্ত্রীরা গোপনে ইসরায়েলের সাথে আঁতাত করেছে যা দ্বিচারিতার বহিঃপ্রকাশ।

আর্মস ট্রেডের বিরুদ্ধে কাজ করা অর্গানাইজেশনের এমিলি অ্যাপল বলেছেন, “ ডেভিড ক্যামেরনের উচিত ছিল বিদেশ বিষয়ক কমিটির সাথে তথ্য শেয়ার করা এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া। তিনি গোপনে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা প্রমাণ করে ইসরায়েলের সাথে আঁতাত আপত্তিজনক ছিল। ”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২১ জানুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

খুব শিগগিরই ব্যাংকের যেসব শাখা বন্ধ হতে যাচ্ছে

ইংলিশ ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য, গ্রেপ্তার ১১

কোথায় হবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কবর?