যুক্তরাজ্যের একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন এক আশ্রয়প্রার্থী৷ ২৭ অক্টোবর ২৬ বছর বয়সি ওই আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে৷
ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্যাটউইক বিমানবন্দরের কাছের এই আটককেন্দ্রটি ব্রুক হাউস নামে পরিচিত৷ আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের কারণে এর আগে নানা সময়ে সমালোচিত হয়েছিল আটককেন্দ্রটি৷
আটককেন্দ্র অভিবাসী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে৷ তদন্ত চলাকালীন এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ তবে নিহতের পরিবার এবং তার বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে হোম অফিস৷
আটককেন্দ্রটির ঠিকাদার সেরকো অভিবাসীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেনি৷
যুক্তরাজ্যে আসা হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থী বর্তমানে দেশটির সাতটি অভিবাসী অপসারণ কেন্দ্রে আটক রয়েছেন৷ এসব আটককেন্দ্র থেকে তাদের ডিপোর্ট বা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে অথবা যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতির দেয়া হতে পারে৷ কাউকে কতদিন আটকে রাখা যাবে তার নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ নেই৷
গত বছর একটি তদন্তে দেখা গেছে, ব্রুক হাউসের ওই বন্দিশালায় অনেক বন্দি অমানবিক আচরণ, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷
বিবিসির একটি তথ্যচিত্রেও এর সত্যতা তুলে ধরা হয়েছে৷ ব্রুক হাউসের ওই আটককেন্দ্রটির পরিচালনায় থাকা আউটসোর্সিং কোম্পানি জিফোরএস-এর কর্মীরা বন্দিদের শারীরিক ও মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল৷
ব্রিটিশ সরকার তখন জানিয়েছিল, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আটককেন্দ্রটির উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷
গত বছর ৩৭ বছর বয়সি এক আলবেনীয় নাগরিক ওই আটককেন্দ্রে আত্মহত্যার চেষ্টার পর মারা যান৷ তার প্রায় এক বছর পর ২৭ অক্টোবরের ঘটনাটি সামনে এলো।
বন্দিদের অধিকারে লক্ষ্যে কাজ করা গ্যাটউইক ডিটেনিস ওয়েলফেয়ার গ্রুপ জানিয়েছে, ‘‘ব্রুক হাউস হলো কারা স্থাপত্য৷ সেখানে কারও শেষ নিঃশ্বাস নেয়া উচিত নয়৷ আমরা শোকাহত যে, একজন তরুণ সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার আগেই মারা গেছেন৷’’
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০১ নভেম্বর ২০২৪