10.9 C
London
October 5, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের এনফিল্ডের সাবেক মেয়র বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমিরুল ইসলামের ভিসা কেলেঙ্কারি

যুক্তরাজ্যের এনফিল্ড কাউন্সিলের সাবেক মেয়র এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ভিসা কেলেঙ্কারির অভিযোগে বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, মেয়র পদমর্যাদা ব্যবহার করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৪১ জন আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের জন্য ভিসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, আমিরুল ইসলাম একাধিক সরকারি চিঠি প্রেরণ করেছিলেন, যেখানে এনফিল্ড কাউন্সিলের লোগো ও মেয়র পদবির ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব চিঠিতে যুক্তরাজ্যের ঢাকা হাই কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয় ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য। কিন্তু এসব চিঠির অনেকগুলোই বিকৃত (ডক্টরড) ছিল।

স্বাধীনভাবে তৈরি ১৬০ পৃষ্ঠার এক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলাম ব্যক্তিগত স্বার্থে তার পদমর্যাদা ব্যবহার করেছেন, যা শুধু নিয়ম ভঙ্গই নয় বরং কাউন্সিলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। এমনকি তিনি ডেপুটি মেয়র থাকার সময়ও একই ধরনের কাজ করেছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

চিঠিগুলোর মধ্যে ১৩টি আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র অফিস থেকে তৈরি হলেও, ইসলাম স্বীকার করেছেন যে অন্তত ৬টি চিঠি তিনি নিজেই প্রস্তুত করেছিলেন। আরও ১১টি চিঠি সন্দেহজনক হলেও তদন্তকারীরা মনে করছেন সেগুলোর পেছনেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

চিঠিগুলোতে ভিসা প্রার্থীদের পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ এবং ভ্রমণ ও থাকার সম্পূর্ণ খরচ বহনের নিশ্চয়তা যুক্ত ছিল। এমনকি উল্লেখ ছিল, ভিসা প্রার্থীরা এনফিল্ডে আমিরুল ইসলামের বাড়িতেই থাকবেন। যদিও ৪১ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত মাত্র একজন বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

কাউন্সিলের কর্মীরা এ ধরনের চিঠি প্রস্তুত করতে অস্বস্তি বোধ করায় পরে আমিরুল ইসলাম নিজেই কিছু চিঠি তৈরি করেন। সেগুলোকে অফিসিয়াল দেখাতে তিনি বিকৃত করে উপস্থাপন করেছিলেন।

৪৭ বছর বয়সী আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এখন ব্রিটিশ হোম অফিস অভিবাসন অপরাধ নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তকারীরা বলছেন, তিনি “সীমার অনেক বাইরে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং আচরণের সুস্পষ্ট ধরণ দেখিয়েছেন, যা পদমর্যাদার সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।”

মেয়র হিসেবে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হওয়ায় অভিষেক অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। তবে এই কেলেঙ্কারির পর তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হলেও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেননি। বরং দাবি করেছেন, তার আগের মেয়ররাও একই ধরনের কাজ করেছিলেন। কিন্তু তদন্তকারীরা তার এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ

এম.কে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

নাইজেরিয়ান, পাকিস্তানি ও শ্রীলঙ্কানদের বিরুদ্ধে শুরু যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসা দমননীতি

যুক্তরাজ্যে পোষা প্রাণীর জন্য ৫০০ পাউন্ড জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন

মারা গেলেন প্রিন্স ফিলিপ

অনলাইন ডেস্ক