যুক্তরাজ্যের বীমা সংস্থাগুলি এক হয়ে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপরতা শুরু করতে যাচ্ছে। নকল বীমা পলিসির ছড়াছড়ি থাকার কারণে যুক্তরাজ্যের বীমা বাজারকে বোগাস দাবী করেছে বীমা সংস্থাগুলো। নিরীহ গ্রাহকদের টার্গেট করে যুক্তরাজ্যের বাজারে গড়ে উঠেছে জালিয়াত চক্র।
শুধুমাত্র ২০২৩ সালে, এবিআই দ্বারা তদন্তে উঠে আসে ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৮৪,৪০০টি বীমা জালিয়াতির খবর। যে সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় ১৬% বেশি। গাড়ি দূর্ঘটনায় “ক্র্যাশ ফর ক্যাশ” ব্যবস্থা হয়ে উঠেছিল জনপ্রিয় জালিয়াত গোষ্ঠীদের মধ্যে। জালিয়াতি চক্র দুর্ঘটনার জন্য অর্থ দাবি করতে দূর্ঘটনার ঘটনা কাহিনীর মতো কেসস্টাডি হিসাবে প্রেরণ করতো। এমন দূর্ঘটনা তারা সাজাতো যা বাস্তবে কখনও ঘটেনি বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
বীমা জালিয়াতি ব্যুরো বর্তমানে ৬,০০০ এরও বেশি সন্দেহজনক জালিয়াতি মোটর বীমার ব্যাপারে তদন্ত করছে বলে তথ্যমতে জানা যায়। এই সকল ঘটনা “ক্র্যাশ ফর ক্যাশ” কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত বলে মনে করে বীমা জালিয়াতি ব্যুরো। এই সকল সম্ভাব্য জালিয়াতির মূল্য ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড বা সমপরিমাণ বলে খবরে জানা যায়।
জাতীয় অপরাধ সংস্থা জাতীয় মূল্যায়ন কমিটির কাছে বীমা খাতে জালিয়াতির বিষয়ে একটি পর্যালোচনা ও রিপোর্ট পেশ করবে। জালিয়াতি রোধে গ্রাহকের তথ্য বিশদ ব্যবহার করে বীমা জালিয়াতিদের বন্ধ করতে ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার পক্ষে মত দিয়েছে জাতীয় অপরাধ সংস্থা।
হোম অফিসের প্রতিমন্ত্রী লর্ড ডেভিড হ্যানসন বলেন, জালিয়াতি একটি ভয়াবহ অপরাধ এবং আমরা এই নির্লজ্জ অপরাধীদের ধরতে ক্র্যাকডাউন করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
লন্ডন সিটি পুলিশের অস্থায়ী সহকারী কমিশনার নিক অ্যাডামস বলেন, জালিয়াতি প্রতিরোধে এই সনদ বআ নীতিমালা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা জনসাধারণকে জালিয়াতি থেকে আরও ভালভাবে রক্ষা করতে শিল্প এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব। আমরা এই নীতিমালা প্রবর্তনকে স্বাগত জানাই। বীমা জালিয়াতি দ্বারা সাধারণ ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, দেশে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ ওএনএস ক্রাইম জরিপের পরিসংখ্যান অনুসারে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে জালিয়াতি সবচেয়ে বেশি সংগঠিত অপরাধ। প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি ১৬ জনের মধ্যে ১ জনের এই অপরাধের শিকার হবার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৫ অক্টোবর ২০২৪