যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারীদের দক্ষিণ আটলান্টিকের একটি দ্বীপে রাখার পরিকল্পনাও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
যদিও এই পরিকল্পনা ২০২০ সালে অকার্যকর হিসাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায় রবিবার নতুনভাবে পরিকল্পনাটি পুনরুত্থিত করা হয়।
সোমবার হোম অফিস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সারা ডাইনস বলেছেন, ছোট নৌকায় করে আসা অনুপ্রবেশকারীদের রুয়ান্ডায় নির্বাসনে দেওয়ার সরকারের পরিকল্পনা নীতিটি ব্যর্থ হলে অ্যাসেনশন আইল্যান্ডে অবৈধ অভিবাসীদের প্রেরণের প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে।
সারা ডাইনস ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী রুয়ান্ডা নীতি নিয়ে। আমাদের মূল ফোকাসও এদিকে কিন্তু আমরা আইনী দিক নিয়েও পর্যালোচনা করে যাচ্ছি। তাছাড়া হাইকোর্টের বিচারকরাও রুয়ান্ডা নীতি সঠিক বলে রায় দিয়েছেন।
রুয়ান্ডা নীতির সমালোচকেরা জানান, হাইকোর্ট রুয়ান্ডা নীতিটি আইনী ছিল বলে রায় দিলেও আপিল কোর্ট রায়টিকে অমানবিক বলে আখ্যা দেন। সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে যেহেতু সুপ্রিমকোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সরকারের একজন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ” অবৈধ অপরাধী গ্যাংদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা ঠেকানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে যারা কাজ করছে তাদের উপরও সরকার কড়া নজরদারি করে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য যে যুক্তরাজ্য সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল তিন বছর আগে হোয়াইটহলে অ্যাসেনশন দ্বীপ নীতিটি প্রস্তাব করেছিলেন। তৎকালীন শ্যাডো হোম সেক্রেটারি নিক থমাস-সিমন্ডস এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “ এই প্রস্তাবটি হাস্যকর এবং ধারণাটি অমানবিক, সম্পূর্ণ অবৈধ।”
এম.কে
০৭ আগস্ট ২০২৩