যুক্তরাজ্য বিদেশি সহায়তা তহবিল ৬০ শতাংশ কমালে সারা বিশ্বের শিশুরা ভয়াবহ পরিণতির শিকার হবে, এমন হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ইউনিসেফ।
যুক্তরাজ্য সরকার এবছর করোনা মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুত্থানের উদ্দেশ্যে ৬০ শতাংশ বিদেশি সহায়তা তহবিল কমিয়ে দিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল।
জাতিসংঘ যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের বিদেশি সহায়তা তহবিল পুনরুদ্ধারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের কিছু সংসদ সদস্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন এবং কিছু রাজনীতিবিদ যুক্তি দিয়েছিন যে মহামারির সময়ে জাতীয় ব্যয়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েও বরিস জনসন এই সিদ্ধান্তের পক্ষে জোর দিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে আমাদের খরচ কমানো প্রয়োজন।
মিডিয়া আউটলেট ডেভেক্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রীরা পোলিও নির্মূলের জন্য তহবিলের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন।
পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাব আমাদেরকে সাহায্যের জন্য ব্যয় করা সামগ্রিক অর্থের পরিমাণকে সাময়িকভাবে হ্রাস করার এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে আমরা এই বছর আরো ১০ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করবো।
ইউনিসেফ বলছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্য সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। তবে ইউনিসেফ যুক্তরাজ্য সরকারকে ২০২২ সাল থেকে জাতীয় আয়ের ০.৭ শতাংশ বৈদেশিক সহায়তার জন্য ব্যয় করতে আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড
২ মে ২০২১
এসএফ