সোমারসেটের একটি রিসাইক্লিং ডিপোতে অভিবাসনবিষয়ক অভিযানে আটজনকে আটক করেছে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম। প্রায় ১০ জন কর্মকর্তার একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযান পরিচালনা করে।
ডিপো থেকে ছয়জনকে আটক করা হয় এবং পরে সংশ্লিষ্ট একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আটককৃতদের অধিকাংশই বৈধ ভিসায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন, তবে পরবর্তীতে কর্ম অনুমতি ছাড়া কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে একজনের বয়সও বৈধ কর্ম-যোগ্য বয়সের নিচে, এবং সবাই ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম পারিশ্রমিকে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রিসাইক্লিং ডিপো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি অবৈধ কর্মীর জন্য সর্বোচ্চ ৪৫,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস বলেন, “এ ধরনের অভিযানগুলো দেখায় যে আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শহরের কেন্দ্র থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকাগুলো পর্যন্ত আমরা অবৈধ কাজের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধে কাজ করছি।”
বাড়িতে পরিচালিত অভিযানে আটককৃতদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের প্রধান মুরাদ মোহাম্মদ বলেন, “এই পাসপোর্টগুলো উদ্ধার হওয়ায় অবৈধভাবে কাজ করা ব্যক্তিদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে।” তিনি আরও জানান, “কিছু ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে থাকার সময়সীমা পেরিয়ে গেছেন—তারা ‘ওভারস্টেয়ার’। আবার কেউ কেউ থাকার অনুমতি পেলেও কাজ করার অনুমতি পাননি।”
হোম অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিম ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে গত এক বছরে অবৈধভাবে কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ১,৬৮৭টি সন্দেহভাজন অবৈধ কর্মস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। একই সময়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যাও দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
সারা দেশে গত ১২ মাসে ১০,০৩১টি অভিযান পরিচালিত হয়, যার ফলে ৭,১৩০ জনকে আটক করা হয়েছে—যা আগের বছরের তুলনায় ৫১% বৃদ্ধি। মন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস বলেন, “আমরা অবৈধ কর্মসংস্থানের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তার ৫০% বাড়িয়েছি এবং অসাধু নিয়োগকর্তাদের ধরতে ও অভিবাসন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে আমাদের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।”
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১০ অক্টোবর ২০২৫