যুক্তরাজ্যের আশেপাশে হাজার হাজার ফোন বক্স বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করা হবে। যুক্তরাজ্যের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম জানায়, স্থানীয় লোকদের প্রয়োজনে দুর্বল মোবাইল সিগনাল ও উচ্চ দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকার পাঁচ হাজার ফোন বক্স বিটিকে বন্ধ করতে দেবে না সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে অব্যবহৃত পেফোনগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে বিটি। ফোন বক্সগুলো সংরক্ষণ করা হবে যদি:
- ফোনবক্সটি দুর্ঘটনাপ্রবণ বা আত্মহত্যার হটস্পটে অবস্থিত হয়।
- গত এক বছরে এর থেকে ৫২টিরও বেশি ফোন করা হয়েছে।
- কোনো বিশেষ কারণে এই স্থানে পেফোনের দরকার রয়েছে।
- ওই স্থানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকলে।
যুক্তরাজ্য জুড়ে একসময় ৯২ হাজার ফোন বক্স ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেদেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ইউকের লাল রঙের আইকনিক ফোন বক্সগুলো। প্রায় ছয় হাজার ফোন বক্স বই আদানপ্রদানসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার হয়।
অফকমের কানেক্টিভিটির ডিরেক্টর সেলিনা চাধা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা যে কল বক্সগুলোকে সুরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা করি তার মধ্যে এমন কিছু বক্স আছে যেগুলো তুলনামূলকভাবে কম কল করার জন্য ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু যদি সেই কলগুলোর মধ্যে একটি হয় কোনো দুস্থ শিশু, দুর্ঘটনার শিকার বা আত্মহত্যার কথা ভাবছে এমন কারো কাছ থেকে, সেক্ষেত্রে পাবলিক ফোন লাইন একটি মহান প্রয়োজনীয় একটি লাইফলাইন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে মোবাইল কভারেজ নেই এমন গ্রামীণ এলাকার লোকেরা যেন এখনও কল করতে পারেন। একই সময়ে, আমরা বিনামূল্যে ওয়াইফাই এবং চার্জিং সুবিধাসহ নতুন ফোন বক্সগুলোকে সমর্থন করছি৷
তিনি বেলন, আমাদের পরিকল্পনার অধীনে রয়েছে বিটি ও কেকমের কিছু পেফোন যেগুলোতে ব্যাটারি সংযুক্ত করা হবে যাতে পাওয়ার কাটের সময়ও সেগুলো ব্যবহার করা যায়।
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ২১ হাজার কলবক্স রয়েছে। যেসব লোকের মোবাইল নেই বা যেসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ নেই, সেইসবক্ষেত্রে পেফোন বক্সগুলো জরুরি লাইফলাইন হিসেবে কাজ করতে পারবে। ২০২০ সালের মে’র পর থেকে ফোনবক্সের সাহায্যে প্রায় দেড় লাখ ইমার্জেন্সি সার্ভিসে কল করা হয়েছে।
৯ নভেম্বর ২০২১
এনএইচ