রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি বছরের পর বছর ধরে রাজনীতিবিদ ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নিশানা করে সাইবার হামলা চালিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করছে যুক্তরাজ্য।
সরকার বলছে, একটি গ্রুপ সাইবার হামলা চালিয়ে তথ্য চুরি করেছে। পরে তা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনের তথ্যও ছিল।
সাইবার হামলার নিশানা হওয়া এক এমপি ফেব্রুয়ারিতে বিবিসি-কে বলেছিলেন, তার ইমেইল চুরি করা হয়েছে। তবে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দাবি রাশিয়া বরবারই অস্বীকার করে আসছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী লিও হাউজ অব কমন্সে বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তাদের একজন এফএসবি’র কর্মকর্তা।
হ্যাকার গোষ্ঠীটি রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও অন্য আরও শত শত জনের ওপর হ্যাকিং করেছে। মূলত হ্যাকিংয়ের নিশানায় ছিল তাদের ব্যক্তিগত ইমেইল। নিবিড় গবেষণার পর মিথ্যা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই সাইবার হামলা চালানো হয়।
স্টার ব্লিজার্ড নামের এই হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রুপটি রাশিয়ার এফএসবি’র সাইবার ইউনিটের অধীন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের সরকার ও রাজনীতিতে ২০১৫ সাল থেকে গ্রুপটি সাইবার অভিযান চালিয়ে আসছে। গ্রুপটি এখনও সক্রিয় রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, “যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিশানা করছে রাশিয়া।” তবে এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা সফল হয়নি বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য প্রকাশ্যে রাশিয়ার সাইবার হামলা নিয়ে অভিযোগ করে হ্যাকার গ্রুপটির কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা এবং আগামী বছরের নির্বাচনের আগে দিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা নিয়েছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, “গ্রুপটি বিপুল পরিমাণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। পশ্চিমাদের দুর্বল করতে এই তথ্য নানাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।”
সূত্রঃবিবিসি
এম.কে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩