প্রীতি প্যাটেল স্বীকার করেছেন যে অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাজ্যে আসা লোকদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য সরকারের হাই-প্রোফাইল পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠা করতে সময় লাগবে। এই স্কিমটি চালুতে দেরি হওয়ার মূল কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ আইনজীবীদের দোষ দিচ্ছেন হোম সেক্রেটারি।
একটি অংশীদারিত্ব চুক্তির অধীনে, ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হওয়া ও অন্যান্য অননুমোদিত রুট দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসা লোকেদের চার হাজার মাইল দূরে রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে। বরিস জনসন বলেছেন, এই মাসের শেষের দিকে স্কিমটি চালু হয়ে যাবে।
হোম অফিস সোমবার রাতে নিশ্চিত করেছে যে প্রথম গ্রুপের লোকদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরিত করতে সরকারের অভিপ্রায় সম্পর্কে এই সপ্তাহে জানানো হবে। এদিকে বলা হচ্ছে, কিছু আইনজীবী এই অপসারণ বন্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন।
সোমবার কেন্টে মেট্রোপলিটন পুলিশ বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় প্যাটেল বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে “বাধা ও প্রতিবন্ধকতা” অতিক্রম করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন: “এটা স্পষ্ট যে সরকার হিসাবে আমাদের উদ্দেশ্য হলো যাদের যুক্তরাজ্যে থাকার কোন আইনি ভিত্তি নেই তাদের রুয়ান্ডায় সরিয়ে দেওয়া।
এই কার্যক্রম চালু হতে কতো সময় লাগবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছি, এটি সময় নেবে এবং বিভিন্ন কারণে দেরি হবে।
তিনি যোগ করেন, “আমরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দেখতে পাচ্ছি। এই দেশে থাকার অধিকার নেই এমন ব্যক্তিদের অপসারণে বাধা দিতে চায় বিশেষজ্ঞ আইন সংস্থাগুলি। এটি তাদের একটি কৌশল’।
প্যাটেল দ্বারা স্বাক্ষরিত রুয়ান্ডা চুক্তির অধীনে, চ্যানেল জুড়ে ছোট নৌকায় আগতদের রুয়ান্ডায় ওয়ানওয়ে টিকিট দিয়ে পাঠানো হবে। পরিকল্পনাটিকে শত শত মানুষকে পাচার থেকে বাঁচানোর উপায় হিসাবে প্রশংসা করেছেন বরিস জনসন।
একটি “অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং একীকরণ তহবিলের” অংশ হিসাবে রুয়ান্ডাকে প্রাথমিক ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটেন। এছাড়া পরিকল্পনার অপারেশনাল খরচের জন্যও অর্থ প্রদান করবে ইউকে। তবে হোম অফিসের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
১১ মে ২০২২
এনএইচ