অনিয়মিত ও অনথিভুক্ত অভিবাসী এবং অনুমতি ছাড়া কর্মরত অনিয়মিত বিদেশিদের খোঁজে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে পাঁচ হাজার ১০০টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছে রোমানিয়া৷ এসব অভিযানে প্রায় ৮০০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক ও ১০০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে ডিপোর্ট বা নিজ দেশ ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোমানিয়া সরকারের জেনারেল ইন্সপেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসে দেশব্যাপী ৫ হাজার ১৩২টি সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পরিচালিত এসব অভিযানে আটক হয়েছেন প্রায় ৭৭৮ জন অনিয়মিত অভিবাসী৷ এদের মধ্যে ৫৬০ জনের বিরুদ্ধে রোমানিয়া থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থানের সময়সীমা দিয়ে আইনি নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আইজিআই আরও জানায়, বছরের প্রথম দুই মাসে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১১৯ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে তাদের নিজ নিজ দেশে ‘ডিপোর্ট’ করা হয়েছে।
বিদেশিদের আইনি মর্যাদা এবং তাদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আইনি বিধানগুলো ভঙ্গের দায়ে অনিয়মিত অভিবাসী এবং তাদের নিয়োগকর্তাদের ওপর এক হাজার ৯৪৩টি জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।
অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে আগামীতেও এ জাতীয় পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইজিআই।
ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসায় রোমানিয়া আসা বাংলাদেশিসহ অনেক দেশের অভিবাসীরা সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার বাইরে গিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করেন। যা রোমানিয়ার আইন পরিপন্থি৷
কাজের ভিসায় আসা ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একই নিয়োগকর্তার অধীনে কাজের বিধান রয়েছে।
এছাড়া শ্রম শোষণের লক্ষ্যে অনেক কোম্পানি অনিয়মিত এবং কাজের অনুমতি নেই এমন অভিবাসীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিয়োগ দিয়ে থাকে।
এমন বেশ কিছু নির্মাণ খাত ও ফ্যাক্টরিতেও অভিযান চালিয়েছে রোমানিয়া অভিবাসন পুলিশ ও সীমান্ত পুলিশের দল।
পাঁচটি নির্মাণ খাতের সাইটে অভিযান চালিয়ে ৮০ জনেরও বেশি অনিয়মিত অভিবাসীকে খুঁজে পায় পুলিশ। যাদের মধ্যে পাঁচজন কোনো প্রকার কাজের অনুমতি ছাড়াই কাজ করছিলেন। এছাড়া সাত জন তুর্কি নাগরিককে আটক করা হয় যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কাজের অনুমতি ছাড়া কর্মরত এসব ব্যক্তিদের রোমানিয়ার মুদ্রায় মোট ২৮০০ লেই বা ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপর দিকে, সরকারের শ্রম আইন ও বিদেশিদের নীতি বিষয়ক বিধান লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে এক লাখ লেই বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।