যুক্তরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার হার শ্বেতাঙ্গ শিশুদের তুলনায় ১৫% বেশি বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইয়ুথ এনডাউমেন্ট ফান্ড (YEF)-এর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একই ধরনের অপরাধে গ্রেপ্তার হলেও কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের ডাইভারশন, অর্থাৎ কাউন্সেলিং বা পুনর্বাসনের সুযোগ কম দেওয়া হয়। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তারা প্রায় ১৪.৮% কম এই সুবিধা পান।
গবেষণায় বলা হয়, অপরাধের ধরন ও পূর্ব অপরাধের রেকর্ড সমন্বয় করার পরও কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার হার বেশি। এর পেছনে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং পুলিশের আচরণগত ত্রুটি।
২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্তত ২ লাখ ৬৫ হাজার শিশুর মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এটি যুক্তরাজ্যে এ ধরনের সবচেয়ে বড় গবেষণা।
লন্ডনের বাইরের এলাকাগুলোর শিশুদের ডাইভারশন পাওয়ার হার অনেক বেশি—ব্রোমলি, বেক্সলি ও কিংস্টন আপন থেমসে তা ৬৫%–৬৬%। কিন্তু ল্যাম্বেথ, হ্যাকনি ও হ্যারিনগের মতো অভ্যন্তরীণ এলাকায় তা ৪১%–৪৩%।
গবেষণায় দেখা গেছে, ছুরি সংক্রান্ত অপরাধে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় অনেক বেশি চার্জড হয়েছেন। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে ডাইভারশন হার ১৭.২%, আর শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে ৩৫%।
YEF-এর সিয়েরান থাপার বলেন, “একই অপরাধ করেও একজন কৃষ্ণাঙ্গ শিশু ও একজন শ্বেতাঙ্গ শিশু একেবারে ভিন্ন আচরণের শিকার হচ্ছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।”
তিনি বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিতে পারে। অথচ ডাইভারশন ব্যবস্থা অপরাধ প্রবণতা কমাতে কার্যকর।”
প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়, মেট পুলিশকে আরও ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে ডাইভারশন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে সহায়তা দিতে হবে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নাই বলে জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৭ জুন ২০২৫