17.3 C
London
August 23, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

লন্ডনে চীনের প্রস্তাবিত ‘সুপার দূতাবাস’ নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করল লেবার সরকার

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় চীনের প্রস্তাবিত “সুপার দূতাবাস” নির্মাণ নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের সরকার। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও হাউজিং সেক্রেটারি অ্যাঞ্জেলা রেইনার ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২১ অক্টোবর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্পটি নিয়ে আরও সময় নিয়ে পর্যালোচনা প্রয়োজন।

পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল মিন্ট কোর্ট এলাকায় প্রায় পাঁচ একর জায়গায় আধুনিক এই দূতাবাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রকল্পটি স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে। বেইজিংয়ের হংকং ও শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদকারীরা এ পরিকল্পনা ঠেকানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাইটের বাইরে বড় আকারে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রেইনার সম্প্রতি চীনা কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনার নকশা সংক্রান্ত আরও তথ্য দিতে নির্দেশ দেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রস্তাবিত দূতাবাসের দুটি ভবনের (কালচারাল এক্সচেঞ্জ বিল্ডিং ও এম্বাসি হাউস) নকশা আংশিকভাবে গোপন করা হয়েছে। চীনা দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কনসালটেন্সি জানায়, পুরো ভেতরের নকশা প্রকাশ করা “প্রয়োজনীয় বা উপযুক্ত নয়”। তাদের দাবি, যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা ভবনের মূল ব্যবহার বোঝার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ, সরকারের ন্যূনতম শর্তও চীন পূরণ করেনি।
মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট ইন্টার পার্লামেন্টারি এলিয়েন্স অন চায়নার নির্বাহী পরিচালক লুক ডি পালফোর্ড বলেন, “এই ব্যাখ্যাগুলো একেবারেই সন্তোষজনক নয়। ভাঙা অ্যাবি ধ্বংসাবশেষ দেখতে গেলে ভিন্নমতাবলম্বীরা কার্যত চীনা ভূমিতে প্রবেশ করবেন, যেখানে তারা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।”
২০১৮ সালে রয়্যাল মিন্ট কোর্ট সাইটটি £২৫৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনে নেয় চীন। তবে ২০২২ সালে স্থানীয় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নিরাপত্তা ও জনবিরোধিতার কারণে প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়। সে সময় কনজারভেটিভ সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হাত থেকে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
চীনের এই দূতাবাস পরিকল্পনা এখন যুক্তরাজ্য-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। গত বছর প্রথমবারের মতো ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আলোচনা করেন। এমনকি লন্ডনে দূতাবাসের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকায় বেইজিংয়ে ব্রিটিশ দূতাবাস পুনর্নির্মাণেও বাধা দিচ্ছে চীন বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
২৪ আগস্ট ২০২৫

আরো পড়ুন

নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে পাস হলো ‘বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ‘রিটার্ন হাব’ পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক

হাই কোর্টে যাচ্ছে প্রীতি প্যাটেলের দুর্ব্যবহার ইস্যুতে বরিস জনসনের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক