লন্ডনের গণপরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের দাবি জোরালো হয়েছে। সামাজিক বৈষম্য কমানো, যানবাহনের দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং নাগরিকদের সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতে রাজধানীতে ফ্রি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালুর আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাম্পেইনাররা। ‘ফেয়ার ফ্রি লন্ডন’ নামের গ্রুপসহ বেশ কিছু সংগঠন TfL-কে এই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় লন্ডনের টিউব ভাড়া সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে যাত্রার অঞ্চল ও সময়ভেদে টিউব ভাড়া £২.৫০ থেকে £৩.৮০ পর্যন্ত এবং দৈনিক সর্বোচ্চ £১৬.৩০, সাপ্তাহিক £৮১.৬০ পর্যন্ত গড়ায়। বাস ও ট্রামে ন্যূনতম ভাড়া £১.৭৫ হলেও দৈনিক সর্বোচ্চ £৫.২৫। মূল্যস্ফীতির চেয়ে দ্রুত হারে ভাড়া বাড়তে থাকলে সাধারণ লন্ডনবাসীরা গণপরিবহন এড়িয়ে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে পারে, যা যানজট ও দূষণ আরও বাড়িয়ে তুলবে।
TfL মূলত ভাড়া আয়েই নির্ভরশীল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যাত্রী ভাড়া থেকে আয় হয়েছে £৫.২৪ বিলিয়ন এবং ২০২৫-২৬ সালে এই আয় বেড়ে £৫.৭ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালে TfL-এর মোট আয়ের মধ্যে £২.৭ বিলিয়ন এসেছে সরকারি অনুদান থেকে এবং প্রায় £১.৬ বিলিয়ন এসেছে বিজ্ঞাপন ও ইউলেজ (Ulez) স্কিম থেকে। তবুও নেটওয়ার্ক চালাতে খরচ মেটাতে TfL যথেষ্ট ভর্তুকি পাচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
সম্প্রতি হাউস অব কমন্সের ট্রান্সপোর্ট কমিটি সুপারিশ করেছে, ইংল্যান্ডে ২২ বছরের নিচের সব নাগরিককে ফ্রি বাস পাস দেওয়া উচিত। এতে তরুণরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সহজে পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ক্যাম্পেইনারদের দাবি, এই সুবিধা শুধু তরুণদের মধ্যে সীমিত না রেখে সব বয়সী নাগরিক ও সব ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য চালু করতে হবে।
‘ফেয়ার ফ্রি লন্ডন’ বলছে, TfL-কে সম্পূর্ণ পুনর্গঠন করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে এস্তোনিয়ার তালিন ও সার্বিয়ার বেলগ্রেডের মতো শহরের মডেল অনুসরণ করা যেতে পারে। এসব শহরে ইতিমধ্যেই ফ্রি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালু হয়েছে এবং তা সফলভাবে কার্যকর হচ্ছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
২৮ আগস্ট ২০২৫