লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে রাজধানীতে বসবাসরত অভিবাসীরা চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি এটিকে ব্রিটেনে ৭০ ও ৮০-এর দশকে বর্ণবাদের উত্থানকালীন পরিস্থিতির স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
মেয়র জানান, অতি-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো আবারও জাতীয় পতাকা দখলের চেষ্টা করছে, সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং ঘৃণা ও বিভাজনের বীজ বপন করা হচ্ছে।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা লন্ডনবাসী এবং গর্বিত ব্রিটিশ হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতি-ডানপন্থীদের প্রত্যাখ্যান করব— যেমনটি আমরা অতীতে বহুবার করেছি।”
ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) সমর্থনে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ। প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ লন্ডনের রাস্তায় নেমে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এর পরপরই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বর্ণবাদী হামলার খবর পাওয়া যায়।
সামাজিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি কেবল অভিবাসীদের জন্যই নয়, সমগ্র লন্ডনের সামাজিক সম্প্রীতির জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে স্থানীয় প্রশাসন ও কমিউনিটি নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগে ঘৃণামূলক রাজনীতিকে প্রতিহত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫