যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসী ও এসাইলাম কেইসে ব্যর্থ লোকেদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
গত মার্চ মাসে ঘোষিত এই প্রকল্পের অধীনে, যেসব অভিবাসীদের এসাইলাম কেইস প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তাদের পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ৩০০০ পাউন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
এই স্কিমটি, জুলাই মাসের মাঝামাঝি নাগাদ শুরু হবে বলে সরকারের ঘোষণা হতে জানা যায়। কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের বরাতে জানা যায় গত সোমবার একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে একজন ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যার নাম প্রকাশ করা হয় নাই বিধায় বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি দ্য সান।
রুয়ান্ডার সরকার নিশ্চিত করেছে লন্ডন থেকে একটি ফ্লাইটে মঙ্গলবার এসাইলাম কেইসে ব্যর্থ একজন ব্যক্তি রুয়ান্ডায় এসে পৌঁছেছেন।
যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি বলেছে, যুক্তরাজ্য সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে রুয়ান্ডায় অভিবাসীদের নির্বাসনে পাঠাতে। তাদের পদক্ষেপ দেখে মনে হচ্ছে লন্ডনে মেয়র নির্বাচনের আগেই তারা কার্যক্রম শুরু করতে চায়। রুয়ান্ডা একটি নিরাপদ দেশ নয় তা সারা বিশ্ব জানে কিন্তু যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ সরকার এটা মানতে নারাজ। কারণ তারা এই রুয়ান্ডার কলা বিক্রি করে জনসাধারণকে বোকা বানাতে ইচ্ছুক।
রুয়ান্ডা নীতি সমালোচকদের মতে, মার্চ মাসে ঘোষণা করা স্কিমটি ব্যর্থ এসাইলাম সিকারদের জন্য স্কিম হিসাবে চালু করা হলেও ভবিষ্যতে এটার প্রকরণ ভিন্ন হতে পারে। এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্যও উন্মুক্ত করা হতে পারে।
হোম অফিস জানিয়েছে, বর্তমান প্রকল্পের অধীনে ব্যর্থ এসাইলাম প্রার্থীদের অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্য হল তাদের গন্তব্য দেশে অস্থায়ী আবাসন, শিক্ষার ব্যয়, নিজেদের জীবন চালানোর জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার নেই এমন ১৯,২৫৩ জনকে গত বছর ইউকে থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩,৩১৯ জনকে প্যাকেজের আওতায় বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।
ছায়া পররাষ্ট্রসচিব ইয়ভেট কুপার জানিয়েছেন, নির্বাচনী বৈতরণি উতরে যেতে করদাতাদের অর্থ কনজারভেটিভ সরকার অযথা ব্যয় করে যাচ্ছে। রুয়ান্ডায় বিরোধী দল, সাংবাদিক ও গণতন্ত্র সবকিছু নির্যাতিত। যেখানে ভোটের নামে অরাজকতা হয় সেই দেশ কিভাবে নিরাপদ হতে পারে।
উল্লেখ্য যে রুয়ান্ডানীতি নিয়ে বর্তমান যুক্তরাজ্য সরকার যুক্তি দেয় ভবিষ্যতে ইংলিশ চ্যানেল ব্যবহার করে ছোট নৌকায় করে আসা অভিবাসীদের ইংল্যান্ডে প্রবেশ করতে বাধা দিতে এই নীতি অপরিহার্য।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০১ মে ২০২৪