জাতীয় সংরক্ষণাগারে পাওয়া একাধিক সরকারি স্মৃতিচিহ্ন থেকে জানা গেছে, রানির ব্যক্তিগত আইনজীবী তার শেয়ারহোল্ডিংগুলো জনসাধারণের কাছে প্রকাশিত না করার জন্য আইন পরিবর্তন করতে চাপ দেন মন্ত্রীদের উপর।
সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ানের’ তথ্য অনুসারে, বিব্রতকর ব্যক্তিগত সম্পদ জনসাধারণের কাছ থেকে গোপন করতে একটি খসড়া আইন পরিবর্তন করতে সরকারের কাছে তদবির করেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী সংসদ থেকে যে কোনো আইন অনুমোদিত হওয়ার আগে রানির সম্মতি নিতে হবে। উনিশের দশকে এই আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল। যার কারণে রানির ব্যক্তিগত শেয়ারহোল্ডিং এবং বিনিয়োগ কমপক্ষে ২০১১ সাল পর্যন্ত গোপন ছিল বলে মনে করা হয়।
রানির সম্পদের প্রকৃত স্কেলটি কখনই প্রকাশিত হয়নি। অনুমান করা হয় এটি কয়েক মিলিয়ন পাউন্ডের মতোন হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনের বিশেষজ্ঞ থমাস অ্যাডামস, নতুন নথি পর্যালোচনা করে বলেন, আইনটির উপরে এমন ধরনের প্রভাব রয়েছে যা লবিস্টরা কেবলমাত্র স্বপ্ন দেখবেন। রানির সম্মতি খসড়া আইনগুলো উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।
নথিগুলোতে দেখা গেছে, ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে রানি আশঙ্কা করেছিলেন যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডিংয়ে বিলটি জনগণকে তার অর্থ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। তাই তিনি আইন পরিবর্তন করার জন্য তার ব্যক্তিগত আইনজীবী দিয়ে সরকারকে চাপ দেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ