লন্ডনে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম সরকারি প্যাড ব্যবহার করে কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশ সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশ সেন্টারের ‘কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট’ মিটিং আহ্বানের নোটিশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল প্যাডে পাঠানো হলে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে।
১৭ নভেম্বর হাইকমিশনে আয়োজিত বাংলাদেশ সেন্টারের কর্মকর্তা ও হাইকমিশনারের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিন পর জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আবিদা ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে সরকারি প্যাডের ব্যবহারের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুললে তিনি জানান, “আমি হাইকমিশনার বলেই বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারম্যান। দুটির মধ্যে কোনো অসঙ্গতি নেই।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেন্টারের প্যাডে চিঠি করার মতো সহায়তা করার কেউ ছিল না বলেই হাইকমিশনের প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে রাষ্ট্রীয় পরিচয় ও সরকারি সুবিধা কমিউনিটি সংগঠনের ক্ষেত্রে ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে সিনিয়র সাংবাদিক, ‘জনমত’-এর স্পেশাল কন্ট্রিবিউটর, ম্যাক্স মিডিয়া লন্ডনের সম্পাদক ও লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার বলেন, “হাইকমিশনারের অবস্থান রাষ্ট্রীয়। আর বাংলাদেশ সেন্টার একটি কমিউনিটি সংগঠন। পদাধিকার বলে তিনি চেয়ারম্যান হলেও রাষ্ট্রীয় প্যাড কোনওভাবেই কমিউনিটি সংগঠনের চিঠি ইস্যুতে ব্যবহার করা যায় না।”
এ বিষয়ে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে নতুন কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া না হলেও ঘটনার পর লন্ডনের প্রবাসী কমিউনিটিতে সরকারি প্রটোকল ও এর সীমারেখা নিয়ে আলোচনা নতুন করে জোরদার হয়েছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

