ছাত্রদের আন্দোলন দমনের নামে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত ধরপাকর, নীপিড়ন-নির্যাতনের প্রতিবাদে সিলেটে ‘সংক্ষুব্ধ অভিভাবক সমাবেশ’ করেছে অভিভাবকরা। এসময় তারা চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়, নীপিড়ন-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় সিলেটের শহিদ মিনারের সামনে এই সমাবেশ হয়। সামবেশে সিলেটের শিক্ষক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মী, ডাক্তারসহ সব স্থরের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদিপ্ত অর্জুন বলেন, এখনো অনেক নাবালক ও এইচএসসি পরিক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। নাবালকদের উপড় আছড় পরলে দেশের মানুষ সেই বিষয়কে ভালোভাবে নেয় না, তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পরে।
তাই সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া আর কোনও নাবালক ও শিক্ষার্থীকে যেন হয়রানি না করা হয় সেই দাবি জানান তিনি।
সমাবেশ শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান বলেন, গত ১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া আজ পর্যন্ত যে তাণ্ডব, হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সংগঠিত হয়েছে সেটা ব্রিটিশ পিরিয়ডেও এমন হয়নি। পাকিস্তানি শকুনিরাও এমন অত্যাচার করেনি। আমারা আমাদের নিজেদের উপর যে অত্যাচার করেছি। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিরা আমাদের লোক ছিল না। কিন্তু তারাও শাসন করতে গিয়ে এমন ক্রুয়েলিটি দেখায়নি। কিন্তু আমারা বাঙ্গালি জাতি হয়ে আরেক বাঙ্গালি জাতিকে কিভাবে মেরে ফেলছি।
নাগারিক আন্দোলনের নেতা কমরেড উজ্জল রায় বলেন, রক্তাক্ত জুলাইয়ের ধারাবাহিকতা চলছে। এরকম একটা পরিস্থিতির জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে রক্তাক্তে পরিনতি দিয়েছে এই সরকার। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী ৩২জন শিশু নিহত হয়েছে। মিথ্যা দিয়ে ডেকেও এই সরকার দেড়শতাধিক মৃত্যুর কথা শিকার করেছে। আর পত্র পত্রিকার খবর অনুযায়ী দুই শতাধিক মানুষকে তারা মেরে ফেলেছে।
এম.কে
০৩ আগস্ট ২০২৪