5.9 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

সুদহার বাড়ানোর পূর্বাভাস ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের

মূল্যস্ফীতিতে নাকাল বিশ্ব। এর নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদহার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকৃত সুদহার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে টানা ১৪তম বারের মতো কোয়ার্টার শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানো হলো। ব্যাংকটি ইঙ্গিত দিয়েছে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় তারা কিছু সময়ের জন্য উচ্চ সুদহার ধরে রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অনেক পরিবার ও ব্যবসাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও মূল্যস্ফীতির কারণে কঠোর চাপে থাকা পরিবার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশঙ্কা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি জুন থেকে তার অর্ধ-পয়েন্ট বৃদ্ধির পুনরাবৃত্তি করবে। তবে গত মাসের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে ছিল এবং প্রত্যাশার চেয়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, চলতি বছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে। তার সঙ্গে খাদ্যদ্রব্যের দাম মাঝারি মাত্রায় চলে আসবে বলে ধারণা।
ব্যাংকটির গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, ‘কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি নিশ্চয় ভালো খবর। বিশেষ করে সমাজের নিম্নস্তরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির ভয়াবহ প্রভাব বিবেচনা করলে আসলে এটি সুসংবাদ। এ মূল্যস্ফীতি যাতে ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে আসে তা নিশ্চিত করাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে আবারো সুদহার বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্ভবত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আবারো সুদহার বাড়ানো হতে পারে। তার পরে একটি বিরতি আসতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। উচ্চ সুদহারের প্রভাবে আবাসন খাতের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে। এদিকে অনেক পরিবারকে শিগগিরই উচ্চ ব্যয়ে তাদের মর্টগেজ পুনরায় অর্থায়ন করতে হবে, যা তাদের আর্থিক পরিস্থিতিকেও প্রভাবিত করবে।
গভর্নর বেইলি ব্যাংকটিকে প্রমাণভিত্তিক নিজেদের কার্যক্রম চালানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি পরামর্শ দেন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে এমন বলার সময় এখনো আসেনি। মূল্যস্ফীতিকে লক্ষ্যমাত্রায় ফিরিয়ে আনার জন্য ঋণের ব্যয়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে সীমাবদ্ধ যেন থাকে তা নিশ্চিত করাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল লক্ষ্য।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলেও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সুনির্দিষ্ট কিছু জটিলতাও মোকাবেলা করছে। কিছু অর্থনীতিবিদ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিটকে বাণিজ্য ও ব্যবসার জন্য ব্যয় বাড়ানোর কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। অন্যরা সুদহার দ্রুত না বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের ওপর বেশি দোষারোপ করছেন।
ব্যাংকের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রভাব যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলো বুঝতে পেরেছে। বিশেষ করে যারা খাদ্য ও জ্বালানি শক্তির জন্য উচ্চ ব্যয়, বন্ধকের হার এবং আকাশছোঁয়া বাসা ভাড়ার বৃদ্ধি দেখেছে। এটি পূর্বাভাস করা হয় প্রায় ২৫০ কোটি বন্ধক চুক্তি আগামী বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে। তখন প্রায় ১০ লাখ পরিবার ২০২৬ সালের মধ্যে তাদের বন্ধক পরিশোধের ক্ষেত্রে ৫০০ পাউন্ড মাসিক বৃদ্ধির সম্মুখীন হবেন।
এম.কে
০৫ আগস্ট ২০২৩

আরো পড়ুন

‘আমি ফিলিস্তিন সরকারের অধীনে থাকতে চাই না’: নুসির ইয়াসিন

নিউজ ডেস্ক

১২ মাসের বেশি কাজে না থাকলে ভাতা বন্ধ করবে সরকারঃ ঋষি সুনাক

নিউজ ডেস্ক

মানবাধিকার লঙ্ঘন: প্রয়োজনে ম্যান্ডেট দিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ