5.8 C
London
November 23, 2024
TV3 BANGLA
মধ্যপ্রাচ্য

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৫ মাসের সর্বোচ্চে

সৌদি আরব থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে গত জুলাইয়ে। এ সময়ে সৌদিতে কর্মরত বিদেশীরা নিজ দেশে
পাঠিয়েছেন ১ হাজার ২৯১ কোটি রিয়াল বা ৩৪৪
কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের জুলাইয়ের তুলনায় ২১শতাংশ বেশি।

সৌদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসএএমএ প্রকাশিত
পরিসংখ্যান অনুসারে, একই সময়ে সৌদি নাগরিকরা ৫৮১ কোটি রিয়াল বিদেশে স্থানান্তর করেছেন, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।

এর আাগে মে মাসে প্রবাসীদের নিজ দেশে পাঠানো
রেমিট্যান্সের অংক নতুন উচ্চতায় উঠে। ওই সময় ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠান তারা।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম
বৃহৎ রেমিট্যান্সের বাজার।দেশটির অর্থনৈতিক নীতি ও শ্রমবাজারের পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে অসংখ্য পরিবারের আর্থিক নির্ভরতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, জিডিপির শতাংশ হিসেবে ২০২৩ সালে সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী বহির্মুখী রেমিট্যান্সে
উল্লেখযোগ্য অবস্থানে ছিল।মোট আকারের দিক থেকে বিশ্বব্যাপী অর্থ স্থানান্তরের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে সৌদি আরব ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া শীর্ষ দশে গালফ
কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদন
অনুসারে, সৌদি আরবের রেমিট্যান্স বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।উপসাগরের অন্যতম এ অর্থনীতির শ্রমশক্তির প্রায় ৭৫ শতাংশ বিদেশী কর্মীনির্ভর।

সৌদি আরব সেসব বৃহত্তম রেমিট্যান্স দাতা
দেশগুলোর একটি, যেখানে লভ্যাংশ বা উপার্জনসহ বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত তহবিল রূপান্তর বা
স্থানান্তরের উপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। এ কারণে অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ লক্ষ করা যায়।

প্রতিবেদন অনুসারে, সৌদি আরবে রেমিট্যান্স
অবকাঠামোর অন্যতম দিক হলো মানবসম্পদ ও
সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মজুরি সুরক্ষা ব্যবস্থা, যা প্রবাসী শ্রমিকদের চুক্তি অনুযায়ী অর্থ প্রদান
নিশ্চিত করে। এখানে নিয়োগকর্তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন দিতে বাধ্য, যাতে প্রবাসীরা তাদের উপার্জন সহজে দেশে পাঠাতে পারেন।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব এবং বৃহত্তর
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে রেমিট্যান্স প্রবাহ ডিজিটাল প্লাটফর্মের উত্থানের কারণে নতুন
রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের মতো পুরনো পদ্ধতির পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলো অর্থ স্থানান্তরে আরো সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী ও নতুন কৌশল প্রস্তাব করছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সৌদি আরব ও এমইএনএ
অঞ্চলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এ রূপান্তরকে সহজতর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সূত্রঃ আরব নিউজ

এম.কে
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

সেনাদের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

কাবা শরীফে মুসল্লির আত্মহত্যার চেষ্টা

ঈদের আগেই গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে দুবাই