TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

হিংসা নয়, মানবতার বার্তাঃ নেপালের জেন-জিদের ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক ভূমিকা

নেপালে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ছাত্র আন্দোলন শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির পথে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া জেন-জি প্রজন্মের তরুণরা এখন নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরে যাচ্ছেন। তারা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন জনজীবন বিপর্যস্ত করা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার জন্য।

তরুণ আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য কখনোই ক্ষমতার ভাগ চাওয়া ছিল না। তারা লুটপাট, চাঁদাবাজি বা সংগঠিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াননি। বরং, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তারা স্পষ্ট করেছেন—রাজনীতি তাদের কাছে অর্থ-লোভ নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার।

নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির প্রতি ছাত্ররা তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছে। কার্কিও জানান, তিনি ছাত্রদের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করবেন না। বরং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। তার নেতৃত্বে কর মওকুফ, ব্যবসা বানিজ্য সুবিধা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের মতো রাজনৈতিক লেনদেন হয়নি, বরং তিনি উপদেষ্টা সংখ্যা সীমিত করে সরকারকে সুশৃঙ্খল রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এদিকে, আন্দোলনের সময় কাঠমুন্ডুর তরুণ মেয়র বালেন্দ্র শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানিয়েছিল অনেক জেন-জি। তবে শাহ বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলেছেন, তার ভূমিকা স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করে যাওয়া। এই অবস্থান তরুণদের কাছে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুশীলা কার্কি অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মতো তরুণদের হিংসা ও বিভেদের রাজনীতিতে জড়াননি। মিডিয়ার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারকে তিনি সম্মান করেছেন, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। যদিও তিনি শান্তিতে নোবেল পাননি, তবুও মানবিক নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।

নেপালের জেন-জিদের এই আন্দোলন প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু প্রতিবাদের ভাষা নয়, বরং দায়িত্বশীল নাগরিকত্বের বার্তাও দিতে সক্ষম। তাদের এই অবস্থান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

নিউইয়র্কে পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যায় ৪০ বছরের কারাদণ্ড

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল অবস্থায় বিশ্বব্যাপী বাড়তে পারে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম

বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ শুরু করলো চীন, ভারতের উদ্বেগ