ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত অপরাধ, জালিয়াতি এবং মাদক অপরাধ সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের জন্য কয়েক ডজন হোম অফিসের কর্মীদের মামলা তদন্তাধীন আছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের খবরে জানা যায় ।
দুর্নীতি দমন ফৌজদারি তদন্ত ইউনিট (এসিআইইউ) জানায় ১৬ টি মামলার চার্জ গঠন অবস্থায় এবং আরও ১৮ টি মামলা তদন্তাধীন আছে। হোম অফিসের কর্মকর্তাদের উপর পরিচালিত বিভিন্ন তদন্তে গত তিন বছরের তথ্য হতে দেখা যায় এসিআইইউর তদন্তে হোম অফিসের কর্মীদের দুটি অপরাধের কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হোম অফিস কর্তৃক প্রকাশিত পৃথক তথ্যে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪-এর মধ্যে হোম অফিসের ৬০ জন কর্মীকে বিভিন্ন অপরাধের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে হুমকি, হয়রানি, বৈষম্য, পদের অপব্যবহার, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মতো অপরাধ। যাদের মধ্যে ৬৩ জন হোম অফিস কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে লিখিতভাবে সতর্কতা করা হয়েছে।
তথ্যগুলো এমন এক সময় প্রকাশ পেলো যখন হোম অফিস হতে একাধিক বিতর্কিত নীতির উপর কাজ করছে। বিশেষত রুয়ান্ডা নীতি ও আশ্রয়প্রার্থী প্রেরণ নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে যুক্তরাজ্য জোরে।
এসিআইইউ ইমিগ্রেশন অপরাধ, জালিয়াতি, কম্পিউটারের অপব্যবহার, চুরি এবং মাদক সম্পর্কিত অপরাধগুলি তদন্ত করছে। গত তিন বছরে ৯৫ টি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে, ৩৪ টি মামলার মধ্যে দুটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে হোম অফিসের কর্মকর্তারা। ৫৯ টি মামলায় যথেষ্ট প্রমাণাদি না থাকায় মামলায় অগ্রগতি হয় নাই বলে জানা যায়।
দাতব্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লুইস ক্যালভে বলেন, “অভিবাসন নীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জড়িত যে কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা।”
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ” আমাদের কর্মীদের নিকট হতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব আশাকরি। হোম অফিসের কর্মীরা আশ্রয় দাবি সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তাই ভিসা অ্যাপ্লিকেশনগুলির ফলাফলে সর্বোচ্চ মানের প্রত্যাশা করি এবং সিদ্ধান্তগুলি যথাযথ কিনা সেটারও সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হয়। হোম অফিসের কর্মীদের অসদাচরণের উদাহরণ একটি বিরল ঘটনা। তবে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৫ এপ্রিল ২০২৪