ওপেন-সোর্স তথ্য এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সোমবার (২৮ জুলাই) ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ব্রিটেনে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এটি রাশিয়ার জন্য একটি সম্ভাব্য সতর্কবার্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই একটি মার্কিন সামরিক পরিবহন বিমান নিউ মেক্সিকোর কির্টল্যান্ড বিমানঘাঁটি থেকে সক্রিয় ট্রান্সপন্ডার নিয়ে পূর্ব ইংল্যান্ডের আরএএফ ল্যাকেনহিথে উড়ে যায়।
বেশ কয়েকজন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকের মতে, বিমানটিতে B61-12 থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা বহন করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি ২০০৮ সালের পর যুক্তরাজ্যে প্রথম মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা।
ন্যাটোর প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা উইলিয়াম আলবার্ক বলেছেন, বিমানের ট্রান্সপন্ডার চালু রাখা ইচ্ছাকৃতই ছিল। এটি মস্কোকে একটি বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কতগুলো অস্ত্র পুনরায় মোতায়েন করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়।
শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে ইউরোপে ন্যাটোর পারমাণবিক অবস্থান মূলত অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে বেলজিয়াম, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং তুরস্কে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।
যুক্তরাজ্যেরও নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। জুন মাসে দেশটি কমপক্ষে ১২টি ‘F-35A’ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা নিশ্চিত করে, যা মার্কিন B61-12 বোমা বহন করতে সক্ষম।
লন্ডন এই পদক্ষেপকে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক অবস্থানের সবচেয়ে বড় শক্তিশালীকরণ’ বলে অভিহিত করেছে।
গত বছর ন্যাটোর প্রাক্তন মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, রাশিয়া ও চীনকে ঠেকাতে সামরিক জোটটি আরও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই মন্তব্যকে ‘আরেকটি উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সূত্রঃ ব্লুমবার্গ
এম.কে
৩০ জুলাই ২০২৫