২০৩৬ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় জনসংখ্যার সাথে আরো ৬১ লাখ অভিবাসী যুক্ত হবে৷ যুক্তরাজ্য সরকারের এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এমন পূর্বাভাসের কথা৷
সরকারের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশটির জনসংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৭০ লাখ৷ ১৫ বছর পর, অর্থাৎ, ২০৩৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাত কোটি ৩৭ লাখ৷ অর্থাৎ, এই ১৫ বছরে যুক্তরাজ্যে জনসংখ্যা বাড়বে মোট ৬৭ লাখ৷ যার প্রায় সবটাই অভিবাসদের আগমনের কারণে হবে বলে জানায় পরিসংখ্যান বিভাগ৷
উল্লেখিত ১৫ বছর সময়ে দেশটির জনমিতিতে পরিবর্তন আসার আরেকটি কারণ হলো জন্ম-মৃত্যুর হারের অসমতা৷ এই সময়ে যত মানুষ মারা যাবেন তার চেয়ে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করবে বলে পরিনসংখ্যান বিভাগের অনুমান৷
এদিকে গত নভেম্বরে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২২ সালে সাত লাখ ৪৫ হাজার মানুষ অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ চলতি বছরের দেশটির জাতীয় নির্বাচনে এই বিষয়টি প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ মতামত জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতা হারাতে পারেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক৷
অবশ্য অভিবাসনের এই হার কমাতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সুনাক সরকার। এরইমধ্যে অভিবাসীদের জন্য ভিসা বিষয়ক আইন কঠিন করা, বাৎসরিক ন্যূনতম আয়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া এবং অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের দেশটিতে আনার প্রক্রিয়াকে কঠিন করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার৷
তাছাড়া বছর প্রতি অভিবাসী আসার সংখ্যাও কমিয়ে আনতে চায় সরকার৷ এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি বছর নতুন করে আসা অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে৷
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪