কয়েক মাস থেকে বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতি আগের রেকর্ডকে পেছনে ফেলে গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে; আর দেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও ইতিহাস সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঘাটতি হয়েছে।
সোমবার (১ আগস্ট) ২০২১-২২ অর্থবছরের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অস্বাভাবিক হারে আমদানি ব্যয় বাড়লেও সেই তুলনায় রপ্তানি আয় বাড়ছে না। এছাড়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরণের পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় এই বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমদানির লাগাম টেনে ধরা। এটা করতে না পারলে সংকটে পড়বে অর্থনীতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
এ হিসাবে ঘাটতি ৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার বা শতকরা হিসাবে ৩৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। আর গত অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ রপ্তানি থেকে আয় করে ৪৯ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত অর্থবছরের শেষের দিকে প্রতি মাসেই আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ফারাক বাড়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি একের পর এক আগের রেকর্ড ছাড়ায়; সবশেষ মে মাসে তা বেড়ে হয়েছিল ৩০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
আলোচিত সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৯৯৮ কোটি ডলার।
অন্যদিকে, সেবা খাতে দেশের ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩৮৫ কোটি ডলার। সেবা খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৮৭ কোটি ডলার। আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৩০২ কোটি ডলার।
৩ আগস্ট ২০২২
নিউজ ডেস্ক