সম্প্রতি জেরেমি হান্ট এবং আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার মধ্যে মতবিনিময় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি মিঃ হান্টের প্রথম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সভা। যদিও আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী খাদের কিনারে আছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি যা নিয়ে জেরেমি হান্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি অন্তত আগের চেয়ে অল্প হলেও ভালো অবস্থানে আছে।
তবে আইএমএফের পূর্বাভাসে বলা হয় যুক্তরাজ্য সমস্ত বড় শিল্পোন্নত অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে।
মিঃ হান্ট আইএমএফের এই প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ঘোষণা করেন, তিনি আইএমএফকে ভুল প্রমাণ করেই ক্ষান্ত হবেন। মিঃ হান্টের মতে ব্রিটেনের অর্থনীতি অনেক এগিয়ে যাবে এইরকম সব পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি গত বছর আমাদের দ্রুত বর্ধমান জি সেভেন অর্থনীতি ছিল। সুতরাং এটা অবশ্যই বলা যায় গত বছর আমরা খুব ভাল করেছি। তাছাড়া এই বছর আমরা এখন পর্যন্ত মন্দা এড়িয়ে চলেছি।
তবে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনাকারীরা মুখরোচক বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়। এই সরকারের সময় বিভিন্ন বিভাগের ধর্মঘটের বিষয় এতে উঠে আসে। পাসপোর্ট অফিস,নার্সিং, জুনিয়র ডাক্তার, সরকারী কর্মকর্তাসহ সব বিভাগের লোক আয় ব্যয়ের সামঞ্জস্যতার অভাবকে দায়ী করে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলে তারা মতামত দেন।
এম জর্জিভা তার নিজস্ব টুইটার বার্তায় বলেন, “ওয়াশিংটনে যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা খুব খুশি। যুক্তরাজ্যের জন্য উন্নত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দরিদ্র ও দুর্বল দেশগুলিকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমাদের মধ্যে খুব ভাল আলোচনা হয়েছে।”