2.2 C
London
November 23, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি বাহিনীতে যোগদান অষ্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স আটকে দিল

অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগদানের যেতে ইচ্ছুক তিন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটকে দিয়েছে।

অষ্ট্রেলিয়ার সরকার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের কোনো বিদেশী সশস্ত্র বাহিনীর সাথে চাকরি করতে সতর্ক করে দিয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয় বিদেশী সশস্ত্র বাহিনীর আচরণ যেনো অপরাধমূলক না হয় সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ান সীমান্ত বাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে তিনজন অস্ট্রেলিয়ানের ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে যোগদান আটকে যায়। এই তিন অষ্ট্রেলিয়ান
ইসরায়েল ভ্রমণ করার উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া বলে মনে করে বর্ডার ফোর্স।

সরকারী সূত্র অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ যুদ্ধাপরাধ এবং বিদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্যান্য গুরুতর অপরাধ তদন্তের ক্ষমতা রাখে।

তথ্যানুযায়ী জানা যায়, বুধবার জেনেভাতে মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে জাতিসংঘের একটি কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। সেখানে পরিষ্কার অভিযোগ আনা হয় ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই অক্টোবর হামলা এবং গাজায় সংঘাতের পর থেকে যুদ্ধাপরাধের মতো কাজ করে যাচ্ছে।

অষ্ট্রেলিয় স্বরাষ্ট্র বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, অস্ট্রেলিয়ান সরকার “অস্ট্রেলিয়ানদের ইসরায়েল এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলিতে ভ্রমণ এবং শত্রুতায় জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সবসময় সতর্ক ছিল”।

মুখপাত্র আরো বলেন, “সরকার সকল অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যারা বিদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সেবা দিতে চায় তাদেরকে উৎসাহিত করে। তবে বিদেশী বাহিনীর আচরণ বা কর্মকান্ডে কোনও ফৌজদারি অপরাধ না হয় সে বিষয়ও নিশ্চিত করে।”

অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিসের প্রধান আইনজীবী এবং নির্বাহী পরিচালক রাওয়ান আরফ বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ২০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই করেছে বা বর্তমানে কর্মরত আছে”।

অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্কের সভাপতি নাসের মাশনি বলেছেন, “অষ্ট্রেলিয় সরকারকে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য আরও দৃঢ় হতে হবে যাতে তার দেশের নাগরিক ঝুঁকিতে না পড়ে। তাছাড়া নাগরিকেরা যেনো কোনো আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত হয়ে না পড়ে।”

যদিও ইসরায়েলি সরকার গণহত্যার অভিযোগকে “মিথ্যা ও আপত্তিকর” হিসাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাছাড়া তারা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটরকে বিরক্তিকর বলে উড়িয়ে দেয়।

উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের বিষয়ে রায় দিতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় ইসরায়েলের আচরণ, গণহত্যার পরিমাণ নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায় প্রত্যাশী ছিল। তারা ইসরায়েলের আক্রমণকে গণহত্যা বলেও জানিয়েছিল। আইসিসির প্রসিকিউটর গত মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওএভি গ্যালান্টের সাথে তিনজন হামাস নেতার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছিলেন বলে খবরে জানা যায়।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২০ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

যেখানে-সেখানে ছারপোকা, বড় অভিযানে নামছে ফ্রান্স

মসজিদে নববীতে যেভাবে প্রবেশ করলেন ইসরায়েলি ইহুদি

ফ্রান্সের বাজারে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আইফোন