ওয়েদারস্পুন পাবের গণশৌচাগারে দাপ্তরিক ‘সংবেদনশীল নথি’ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। এ বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন দ্য রয়্যাল নেভি।
তবে, নৌবাহিনী থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, পড়ে পাওয়া নথিগুলোতে কোনো রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল না। সেগুলো ‘খুবই সাধারণ কাগজপত্র’।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গণশৌচাগারে পাওয়া নথিতে এইচএমএস আনসন একটি পরমাণু শক্তিধর ‘অ্যাটাক সাবমেরিন’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। এটি ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক নৌযানগুলোর একটি। অত্যাধুনিক এই সাবমেরিনটি যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
নৌযানটি একবারও ভেসে না উঠে পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম বলে জানায় যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম। সাবমেরিনটি বর্তমানে স্কটল্যান্ডের ক্লাইড নৌঘাঁটিতে রয়েছে।
পত্রিকাটি আরও জানায়, ওই নথিগুলি ব্যারো-ইন-ফার্নেসের ফার্নেস রেলওয়ে পাবের শৌচাগারে পাওয়া গেছে। গণশৌচাগারটির ভেতরে মেঝেতে সেগুলো পড়েছিল।
এক বিবৃতিতে র্যায়ল নেভির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘সেগুলো খুবই সাধারণ প্রশিক্ষণে কাগজপত্র। সেখানে রাষ্ট্রীয় গোপন কোনো তথ্য ছিল না। যদিও আমরা নিরপত্তা বিষয়ক সব কিছুই খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেই এবং কোন পরিস্থিতিতে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এইচএমএস আনসন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হাতে থাকা ‘সর্ববৃহৎ, সবচেয়ে আধুনিক এবং সব থেকে শক্তিশালী’ আক্রমণকারী সাবমেরিন।