এক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি অভিবাসন আইনজীবী আদালতে নথি তৈরিতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ভুয়া মামলা উদ্ধৃত করায় শাস্তির মুখে পড়েছেন। ঘটনাটি বার স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে, যা চাইলে তাকে আইনচর্চা থেকে বাদ দিতে পারে।
মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান নামের ওই আইনজীবী স্বীকার করেছেন যে তিনি অভিবাসন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া আপিলের নথিতে একটি কাল্পনিক মামলা যুক্ত করেছিলেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এই ভুয়া উদ্ধৃতি তার মক্কেলকে অন্যায়ভাবে শুনানির অনুমতি এনে দিয়েছিল, ফলে সরকারি অর্থের অপচয় হয়।
ঘটনাটি ধরা পড়ে গত ২০ জুনের শুনানিতে। বিচারক লক্ষ্য করেন, নথিতে উল্লেখিত Y (China) নামের কোনো মামলাই নেই। এরপর মূল নথি চাইলে রহমান প্রথমে দাবি করেন উদ্ধৃতিটি সত্যি। কিন্তু পরে স্বীকার করেন, তিনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছিলেন এবং সফটওয়্যারটির তৈরি ভুয়া মামলা উদ্ধৃতিই তিনি জমা দিয়েছিলেন।
নিজেকে রক্ষায় মুজিবুর রহমান দাবি করেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতকে বিভ্রান্ত করেননি। ডায়াবেটিসের কারণে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং সময়ের চাপে লাঞ্চ বিরতিতে নথি তৈরি করতে গিয়ে এআইয়ের শরণাপন্ন হন। তার ভাষ্য, এ ভুলের কারণে তিনি নিজেও “ভুক্তভোগী”।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছে, মুজিবুর রহমান চ্যাটজিপিটি ভুয়া রেফারেন্স তৈরি করতে পারে—এ বিষয়টি জানতেন না। তাই পুলিশের কাছে বিষয়টি পাঠানো হয়নি। তবে শাস্তির জন্য বিষয়টি বার স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫