1.6 C
London
November 23, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ট্যাক্স কমানোর পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর

যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট ট্যাক্স কমানোর পরিকল্পনা করছেন বলে স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন। চ্যান্সেলরের পরিকল্পনায় পাবলিক সেক্টর ব্যয় কমানো গেলেই সম্ভাব্য ট্যাক্স কর্তন সম্ভব।

চলতি বছরের মার্চ মাসে বাজেটের আগে কনজারভেটিভ সরকার কর হ্রাসের ইঙ্গিত দিয়েছে। কনজারভেটিভ সরকার পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে ভোটারদের কাছে আকর্ষণীয় অফার দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কিন্তু যুক্তরাজ্যে মন্দা ও অর্থনৈতিক দৈন্যতা প্রকট হওয়ায় ট্যাক্স কমানো কতটুকু সম্ভব তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রেজারির ট্যাক্স কমানোর মতো যথেষ্ট জায়গা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়।

মিঃ জেরেমি হান্ট তার পরিকল্পনায় ০.৭৫% হতে ১% পাবলিক সেক্টরে ব্যয় কমানোর চিন্তা করছেন। তার ধারণা অনুযায়ী এর ফলে অন্তত ৬ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত একটি ফান্ড তৈরি হবে যা ট্যাক্স কমানোতে ব্যবহার করা সম্ভব।

স্কাই নিউজ চ্যান্সেলরের কাছে ট্যাক্স কর্তন ও বাজেট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও বাজেট নিয়ে কথা বলার সময় আসে নাই। আমি এখনও জানি না চূড়ান্ত সংখ্যাগুলি কি হতে পারে। বাজেটের দায়িত্ব থাকা অফিসের নিকট হতে তথ্য আমি পাই নাই কিংবা তাদের হাতেও যথেষ্ট সময় রয়েছে। তবে আমি এইকথা বলতে পারি সারাবিশ্ব বিশেষ করে আপনি আমেরিকা, কানাডার দিকে তাকালে দেখতে পারবেন তাদের দেশে ট্যাক্সের হার কম। যার ফলে ব্যবসা বানিজ্যে গতিও বেশি।

চ্যান্সেলর স্কাই নিউজকে জানান,” প্রধানমন্ত্রী এবং আমি শেষ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি তার জন্য বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমি প্রায় ছয় বছর ধরে স্বাস্থ্য সচিব ছিলাম। আমি এনএইচএসের জন্য অর্থ সরবরাহে সবসময় আগ্রহী ছিলাম এবং এখনও আছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এনএইচএস স্বাস্থ্যকরভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখাও আমাদের দায়িত্ব।”

তবে লেবার দলের ছায়া চ্যান্সেলর রেচেল রিভস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আর দাবি করতে পারবেন না তার কোনো পরিকল্পনা সঠিক ভাবে কাজ করছে। তিনি দাবি করলেও সেই দাবি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে সস্তা পরিকল্পনা ও অযথা ইমিগ্রেশন নিয়ে টানাটানি দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলবে। ১৪ বছর ধরে কনজারভেটিভ সরকার দেশের জন্য কি করেছে তা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটেন এর দায় নিতে হবে ঋষি সুনাককেই।”

উল্লেখ্য যে ব্রিটেনের নির্বাচন দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে।ইলেকশনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেকায়দায় ফেলেছে কনজারভেটিভ সরকারকে বলে মনে করেন সমালোচকেরা।

সূত্রঃ স্কাই নিউজ

এম.কে
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

১ জানুয়ারি থেকে ইইউতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে ব্রিটিশদের জন্য

যুক্তরাজ্যে ভিসাধারীদের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে ই-ভিসা সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে

১৯ জুলাই ইংল্যান্ডে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্ক